Rashid Khan Passes Away: শেষশ্রদ্ধা জানানো হল উস্তাদ রশিদ খানকে ( Ustad Rashid Khan )। রবীন্দ্র সদনে তাঁকে গান স্যালুট জানানো হল। উপস্থিত ছিলেন সকলেই। মুখ্যমন্ত্রী সহ ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাস সকলেই দাঁড়িয়ে ছিলেন উস্তাদজীর নশ্বর দেহর সামনে।
তারপরেই, গোলাপের সাজে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাকতলার বাড়িতে। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে শিল্পীকে হারাল গোটা দেশ। শোকস্তব্ধ প্রসূন যোশী থেকে শ্রেয়া ঘোষাল। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর বেশিরভাগ অনুরাগীরা। বাংলাকে ভালবাসতেন। সেকারণে, মুম্বাই কিংবা উত্তরপ্রদেশে বেশি যাওয়া হত না তাঁর। আর এখানেই, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সৌখিন ছিলেন, কদর করতেন গুণীদের।
যদিও, কলকাতায় শেষ মুহূর্ত কাটলেও তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে না হওয়ার সম্ভাবনা। বাংলার কাছের মানুষটির যে নাড়ির টান উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে। সেখানেই তাঁর জন্ম। বাদাউনে নিজের বাড়ির কাছেই তাঁকে কবর দেওয়া হোক, এমনটাই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পরিবারের লোকজন। তারাও আজ উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আরও পড়ুন - Ustad Rashid Khan Passed Away: ‘আমার একটুও দুঃখ হচ্ছে না…’, উস্তাদজীর প্রয়াণে মুহূর্ত উদযাপন মীরের
শিল্পীকে টালিগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেও পালন করা হবে নানা আচার অনুষ্ঠান। সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের লোকেরা। তিনি শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি সঙ্গীতমহলের কারওর ভাই ছিলেন আবার কারওর ছিলেন বন্ধু। ঊষা উত্থুপ ( Usha Utthup ) থেকে হৈমন্তী শুক্লা ( Haimanti Shukla ), শিল্পীরা মর্মাহত প্রিয় ভাই রশিদের মৃত্যুতে। হৈমন্তী দেবী বলছেন, প্রতি বছর ভাইফোঁটার দিন অপেক্ষা করতাম। ও বলতো, "আমি যাব! তোমায় আসতে হবে না। আর আমি বলতাম, আমি যাব। এত অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।"
ঊষাজী যেন ভাবতেই পারছেন না তাঁর বন্ধু এত অল্প বয়সে পাড়ি দেবেন আল্লাহর দরবারে। বলছেন, "আমি সবসময় ওকে বলতাম তুই, মর্ডান আর ধ্রুপদী সঙ্গীতের একটা অদ্ভুত কম্বিনেশন"। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকমাস ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী রশিদ খান। জানা গিয়েছিল, অতীতে তাঁর প্রস্টেটে ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক বার স্ট্রোক হয়। এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে চিকিৎসাধীন এই প্রখ্যাত শিল্পী। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন রশিদ খান। আশা করা হয়েছিল, সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই জন্ম রশিদ খানের। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বেড়ে ওঠা সঙ্গীত পরিবারে। রশিদ উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো। কাকাই প্রথম তাঁকে মুম্বাই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে গানের তালিম নেন রশিদ খান। এরপর উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নেন তিনি। ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব প্রতিষ্ঠিত রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী রশিদ খান৷ মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী রশিদ খান। তবে বলিউড, টলিউডেও প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন এই শিল্পী। ‘যব উই মেট’, ‘কিসনা’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘মাই নেম ইজ খান’, ‘রাজ ৩’-র মতো বলিউড ছবিতে যেমন তাঁর গান রয়েছে, তেমনই ‘মিতিন মাসি’, ‘বাপি বাড়ি যা’, ‘কাদম্বরী’-র মতো বাংলা ছবিতেও রয়েছে রশিদের প্রতিভার সাক্ষর।