/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/03/zJ7b1By8qb0KIMcgqrS6.jpg)
এভাবেই তাঁর জন্মদিন পালন করতেন কে...
আজ ৩ সেপ্টেম্বর। আজ সেই নায়কের জন্মদিন যিনি বাঙ্গালিকে সিনেপ্রেমে ডুবতে বাধ্য করেছিলেন। তাঁর সেই স্মিত হাসিতে মজেছিলেন অনেকেই। এবং, তাঁর অভিনয় দক্ষতায় যেন বাঙালি তো বটেই তবে গোটা দেশ বলেছিল - ক্যা বাত! আজ সেই উত্তমের জন্মদিন যিনি বাংলার মহানায়ক। যাকে দেখে সত্যজিৎ রায় পর্যন্ত ভেবে নিয়েছিলেন 'নায়ক' কেবল উত্তম-ই।
তিনি বাংলার এবং বাঙালির প্রাণের মানুষ। এতবছর ধরেও তাঁর শিল্পীস্বত্বা এখনও মনে গেঁথে রয়েছে বাঙালির। উত্তম মানেই সিনেমার সেই মাধুর্য যা আজও বাঙালির মণিকোঠায়। আর সেই মানুষটার জন্মদিন তাঁর মৃত্যুর পরেও যেভাবে পালন করতেন এক অভিনেতা। উত্তমের চলে যাওয়ার পরও সেই বন্ধু যেন তাঁর জন্মদিন পালনে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে চলতেন। সেকথাই একবার সকলের সামনে বলেছিলেন তাঁর পুত্র শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
বলের আঘাতে গেল চোখ! ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন অধরা থেকে গেল, এই পরিচালক আজও...
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি শুধু মহানায়ক ছিলেন আন, ছিলেন এক এমন মানুষ যিনি তাঁর মনের খুব কাছের ছিলেন। তাঁর বন্ধু ছিলেন উত্তম। তাই তো, মহানায়ক চলে যাওয়ার পরও তাঁর জন্মদিন খুব সুন্দরভাবে পালন করতেন তিনি। এবং বাবার লিগেসি আজও বজায় রেখেছেন শাশ্বত। সহজ কথায় এসে তিনি জানিয়েছিলেন সেই জন্মদিন প্রসঙ্গে।
শাশ্বত বললেন, "উত্তম কুমার তো সূর্য, বাকি সব সুপারস্টার। বাবা তাঁর চলে যাওয়ার পরেও জন্মদিন পালন করতে তাঁর। আমি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। বাবা যখন ছিলেন আমার মনে আছে, বাড়িতে মেন সেন্টারে যে টেবিলটা ছিল সেখানে তাঁর একটা ছবি থাকত। একশো কতগুলো সাদা পদ্ম আসত। সেটা দিয়ে সাজানো হত। আর বাবা একগ্লাস সুরা-বরফ দিয়ে টেবিলে রাখতেন। সেটাতে চিয়ার্স করতেন। আর হ্যাঁ, মনে আছে বাবা রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেটা প্রসাদ হিসেবে খেয়ে নিতেন। আমি এখন মালা দিয়ে সাজাই। সেটাই মেন্টেন করি।"