যখন যেখানে প্রয়োজন হত, তড়িৎ গতিতে বরুণ ধাওয়ানকে পৌঁছে দিয়েছেন মনোজ। ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে ধাওয়ান পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। বরুণ সাধ করে মনোজের নাম দিয়েছিলেন- 'ড্রাইভিং ফোর্স'। কিন্তু সেই মানুষটিই মঙ্গলবার আচমকাই চিরতরে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন।
Advertisment
আর পাঁচটা দিনের মতোই মনোজ সকাল সকাল বরুণকে পৌঁছে দিয়েছিলেন সেটে। বান্দ্রার মেহেবুব স্টুডিওর সেটে অভিনেতা তখন এক বিজ্ঞাপনের শট দিতে ব্যস্ত। আচমকাই তাঁর গাড়ির চালক মনোজের বুকে ব্যথা শুরু হয়। খবর কানে যেতেই তড়িঘড়ি শুটিং থামিয়ে নিজের টিমকে দিয়ে মনোজকে কাছের লীলাবতী হাসপাতালে পাঠান বরুণ। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মনোজের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্বস্ত মানুষটির মৃত্যুর খবর কানে যেতেই তড়িঘড়ি শুটিং ছেড়ে হাসপাতালে ছুটে যান বরুণ ধাওয়ান। সেখানে ঘণ্টাখানেক তাঁর গাড়ি চালকের পরিবারের সঙ্গে কাটান। কথা বলেন। পাপ্পারাজিদের লেন্সবন্দি ছবিতে বরুণকে তখন অনেকটাই বিধ্বস্ত লাগছে দেখতে। কারণ, মনোজ শুধু তাঁর গাড়িচালকই ছিলেন না, অনেকসময় তাঁর কাছ থেকে বরুণ পেশাগত বিষয়েও উপদেশ নিতেন। কোনও চিত্রনাট্য এলেই মনোজকে সেটা পরিয়ে ওঁর মতামত জানতে চাইতেন অভিনেতা। কিন্তু সেই কাছের মানুষটিই আজ আর নেই।
বুধবার সকাল হতেই মনোজের সঙ্গে ২০১৮ সালের এক পুরনো ভিডিও শেয়ার করে বরুণ তাঁর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, "গত ২৬ বছর ধরে আমার জীবনের সঙ্গী মনোজ। ও আমার সবকিছু ছিল। শোকপ্রকাশের জন্য আমার কাছে কোনও ভাষা নেই। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, মনোজকে সবাই ওঁর রসিক মানসিকতা, প্যাশনের জন্য মনে রাখবে। আমি চিরকাল তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব মনোজ দাদা।"
ড্রাইভার মনোজের উদ্দেশে শেয়ার করা বরুণের এই পোস্টে শোকপ্রকাশ করেছেন করণ জোহর, অনুষ্কা শর্মা, অনিল কাপুর থেকে শুরু করে বি-টাউনের আরও অনেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন