Prabhat Roy Daughter Ekta Bhattacharjee: ১৫ জুন পিতৃদিবস। সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ নিজস্ব স্টাইলে এই দিনটা উদযাপন করছেন। কিন্তু, রক্তের সম্পর্কই একমাত্র বাবা-মেয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়তে পারে? পিতৃদিবসে সেই প্রশ্নের যথাযথ বিশ্লেষণ করলেন বিশিষ্ট পরিচালক প্রভাত রায়ের 'কন্যা' একতা ভট্টাচার্য। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, 'বাবির ছবি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন প্রায় সব সিনেমাতেই উনি বলেছেন রক্তের সম্পর্কই শেষ কথা নয়, আত্মার সম্পর্কই সবচেয়ে বড় বিষয়। আমি তো ছোটবেলা থেকে ওই ছবিগুলো দেখেই বড় হয়েছি। তাই এই মানুষটার প্রতি আমার এত শ্রদ্ধা-ভালবাসা-সম্মান। কোথাও না কোথাও আমিও বিশ্বাস করি নিঃস্বার্থ ভালবাসার আগে এই পৃথিবীতে বড় কিছু হয় না। আমার বাবিও এখন বিশ্বাস করেন, কোনও এক জন্মে আমি হয়ত বাবির-ই সন্তান ছিলাম নাহলে কেউ কাউকে এতটা স্নেহ-ভালবাসা দিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ ওঁর মনের বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাসের জোরে যদি উনি ভাল থাকেন, আরও অনেকদিন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন তাতে আমি খুশিই হব। বাবি আমার জীবনের যে একটা অংশ এটার জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। আমাদের দুজনের কাছেই আত্মার সম্পর্কটাই শেষ কথা। বাবি সবসময় বলেন আমার সঙ্গে নাকি মাম্মা আর বাবির অনেক মিল রয়েছে।'
পিতৃদিবসে বাবির জন্য কোনও বিশেষ আয়োজন? ফোনের ওপারে মৃদু হেসে একতা বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমি আমার জন্য একটা শার্ট কিনেছিলাম। সেটার স্ট্রাইপ বাবির খুব পছন্দ হয়েছিল। তিন বছরে প্রথমবার আমার কাছে উনি আবদার করলেন এইরকম একটা শার্ট আমার জন্য কিনে দেবে? দুজনে একসঙ্গে ছবি তুলব। আজকের জন্য সুগার ফ্রি চকোলেট দিয়েছি আর প্রমিস করেছি চাইনিজ খাওয়াব। উনি রোজ মধ্যাহ্নভোজ আর নৈশভোজের পর এক টুকরো চকোলেট আর এক টুকরো মিষ্টি খান।'
আরও পড়ুন 'আমরা সবাই একদিন চলে যাব কিন্তু...', হাসপাতাল থেকে ফিরে মেয়েকে খোলা চিঠি বিশিষ্ট পরিচালক প্রভাত রায়ের
শেষবার হাসপাতাল থেকে ফেরার পর কেমন আছেন একতা ভট্টাচার্যের বাবি প্রভাত রায়? তিনি জানান, 'রোগটা তো একটু জটিল। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়াটা সম্ভব নয়। সেই সত্যিটা মেনে নিতেই হবে। তার মধ্যেও যতটা সাবধানতা অবলম্বণ করে সুস্থ রাখা যায় সেই চেষ্টাই করি। ইনফেকশন থেকে দূরে রাখার বিষয়টাই মূল প্রচেষ্টা। এখনও কিছু জটিলতা আছে। নিয়মিত চেক-আপে রাখা হয়।'
সকলের নজরে একতা ভট্টাচার্য প্রভাত রায়ের অত্যন্ত স্নেহের সন্তান। কিন্তু, একতা বললেন উলটো কথা। প্রভাত কন্যার মতে, 'ওনাকে আমি বাবি বলে ডাকি ঠিকই কিন্তু, আদতে আমার সন্তান। ২০২৩-এ যেদিন প্রথম আমি বাবিকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এলাম সেদিন মনে হয়েছিল ছোট্ট একটা বাচ্চাকে নিয়ে এলাম। তাঁকে ধীরে ধীরে সুস্থ করতে হবে যাতে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে, খাওয়াদাওয়া করতে পারে। একটা ছোট বাচ্চাকে যেমন মা কিছু না কিছু উপহার দিতেই থাকে, আদরে-যত্নে আগলে রাখে সেটা একটা ক্রিম, শ্যাম্পু, বডি লোশন, জামা, চকোলেট, ব্লু বেরি যাই হোক না কেন আমিও সেটাই করি। পিতৃদিবসে শুধু সেই সংখ্যাটা বেড়ে যায়।'
আরও পড়ুন পিতৃদিবসে রাজপুত্রের প্রথম ঝলক, ছবি পোস্ট করে কী লিখলেন পরিচালক-অভিনেতা পরমব্রত?