বুধবার মহত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী। তবে কেবলমাত্র জন্মদিন বলেই নয়, এই দিনটি জনপ্রিয় পরিচালক বিজয় ভাটের রাম রাজ্য ছবির ৭৬ বছর পূর্ণ করার জন্য। বিজয় ভাটের ছবি মুক্তি পেয়েছিল সারা ভারতে। সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে দর্শক উপচে পড়েছিল ছবিটি দেখার জন্য। আমার দাদুর কেরিয়ারের মাইলফলক হিসাবে রয়ে গেছে একমাত্র হিন্দি চলচ্চিত্র যা মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবদ্দশায় দেখেছিলেন। বিজয় ভট্টর ১৯৩০ এর শেষের দিকে তাঁর বন্ধুদের সাথে ভলসাদ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রথম গান্ধিজির সঙ্গে দেখা হয়।
গান্ধীজি যখন জানতে পারলেন যে তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "আপনি নরসী মেহতা নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করছেন না কেন?" নরসী মেহতা গুজরাটের একজন কবি সাধু ছিলেন। তাঁর ভজন “বৈষ্ণব জন তো তেনে রে কহিয়ে জে…” গান্ধীজীর প্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন, ‘পাসওয়ার্ড’-এ নিরাপদ নয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নথি
বিজয় ভট্ট বা ভাই যেমন আমরা সবাই তাঁকে এই নামেই ডাকতাম, তৎক্ষণাত চিত্রমাট্যের কাজ শুরু করেন এবং ১৯৪০ সালে, তিনি হিন্দী ও গুজরাটি ভাষায় 'নরসী মেহতা' মুক্তি পেয়েছিল। এই চলচ্চিত্রের জন্য মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপান্ত পাগনিসকে এবং তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দুর্গা খোটকে। ছবিটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিল এবং ভারত জুড়ে রজতজয়ন্তী পূর্ণ করেছিল। বিজয় ভট্টের খারাপ লেগেছিল যে তিনি গান্ধীজিকে ছবিটি দেখাতে পারেন নি। তবে সেটা তাঁর পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি রাম রাজ্য ছিল, যা ১৯৪৩ সালে মহাত্মা দেখেছিলেন।
ছবিটা শুরু হওয়ার পরে, গান্ধীজি এতটাই মগ্ন হয়েছিলেন
১৯৪৫ সালে, বিজয় ভট্ট জানতে পেরেছিলেন যে গান্ধীজী জুহুতে মিঃ শান্তকুমার মোরারজির বাংলোয় আসছেন। গান্ধীজির সচিব, শ্রীমতি সুশীলা নায়ার, বিজয় ভট্টকে ৪০ মিনিট ছবিটি প্রদর্শনের জন্য দিয়েছিলেন। ছবিটা শুরু হওয়ার পরে, গান্ধীজি এতটাই মগ্ন হয়েছিলেন যে ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় তিনি ছবিটা দেখেছিলেন। দিনটায় ভীষণ চুপচাপ ছিলেন তিনি, তবে বিজয় ভট্টের প্রশংসা করে ছবির শেষে পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। এটিই আমার দাদার কাছে তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।
Read the full story in English