/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/08/virat-kohli-and-anushka-sharma-2025-08-08-15-12-05.jpg)
বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা
বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার বর্তমান অবস্থান লন্ডনে। তাঁরা পাপারাজ্জি ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে দূরে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছেন। যদিও এই দম্পতি গোপনীয়তা পছন্দ করেন, তবে তারা প্রায়শই বন্ধু, পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মী ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার জেমিমা রদ্রিগেজ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কীভাবে একবার বিরাট ও অনুষ্কার সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা আড্ডা দেওয়ার পর ক্যাফে থেকে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছিল।
ম্যাশেবল ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় জেমিমা বলেন, তিনি ও সতীর্থ স্মৃতি মান্ধানা বিরাটের কাছে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন। প্রথমে তারা ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করেন এবং পরে হোটেলের ক্যাফেতে একসঙ্গে বসেন, যেখানে পুরুষ ও মহিলা উভয় দলের খেলোয়াড়রাই ছিলেন।
জেমিমার কথায়, অনুষ্কাও বিরাটের সঙ্গে ক্যাফেতে উপস্থিত ছিলেন। প্রথম আধ ঘণ্টা শুধুই ক্রিকেট নিয়ে কথা চললেও ধীরে ধীরে আড্ডা জীবনযাপন ও নানা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় গড়ায়। বিরাট তখন জেমিমা ও স্মৃতিকে বলেছিলেন, “তোমাদের দু’জনের ক্ষমতা আছে মহিলাদের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার, আর আমি সেটা বাস্তবায়িত হতে দেখছি।”
Sreelekha Mitra Exclusive: 'বিচার ব্যবস্থার সকলে তো TMC-দ্বারা নিয়ন্ত্রিত...', শাসকদলের বিরুদ্ধে বড় জয় শ্রীলেখার?
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা সেই আড্ডার শেষে ক্যাফের কর্মীরাই তাদের চলে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। জেমিমা মজার ছলে বলেন, “মনে হচ্ছিল যেন বহুদিন পর কিছু বন্ধু দেখা করেছে, আর গল্প শেষ হচ্ছিলই না।”
বাবা-মা হওয়ার পর বিরাট ও অনুষ্কা স্থায়ীভাবে লন্ডনে চলে যান। আলোচনার বাইরে একটি শান্ত জীবন বেছে নেওয়ার ইচ্ছাতেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। ২০২৪ সালে অনুষ্কা সেখানেই জন্ম দেন তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান আকায় কোহলিকে। বর্তমানে সন্তান ভামিকা ও আকায়কে নিয়ে এই পরিবারকে প্রায়ই শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
এর আগে, মাধুরী দীক্ষিতের স্বামী ডঃ শ্রীরাম নেনে ইউটিউবার রণবীর আল্লাবাদিয়ার শোতে জানিয়েছিলেন, বিরাট-অনুষ্কার লন্ডনে থাকার সিদ্ধান্তের কথা তিনিও শুনেছেন। তাঁর ভাষায়, “তারা চেয়েছিল এমন এক জায়গায় থাকতে, যেখানে সাফল্য উপভোগ করতে পারবে। এখানে প্রতিটি কাজই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে যায়, যা তাদের জন্য অনেক সময় অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।”