/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/cats-2025-09-07-12-25-19.jpg)
অর্থসংকটে বিবেক
Vivek Agnihotri Fincial Condition: 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর সাফল্যের পর মুক্তি পেয়েছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর ফাইলস ট্রিলজির তৃতীয় ও শেষ ছবি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'। ছবিটি প্রযোজনার জন্য তিনি নাকি আগের ছবির সব উপার্জনের সব টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। এমনকি অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনে ধারও করতে হয়েছে। 'গালাটা প্লাস'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন এবং দিল্লিতে ছবির প্রচারে যেতেও তাঁকে ধার করতে হয়েছে।
পরিচালক বলেন, 'আমার কাছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল টাকা। আমাদের ছবিতে কেউ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভরসা করে না। দ্য কাশ্মীর ফাইলস থেকে যা উপার্জন করেছি সবটাই এই ছবিতে খরচ করেছি। এরপর আমার কী হবে জানি না। আমাদের স্বপ্ন ১০০ কোটির সিনেমা বানানো কিন্তু হাতে থাকে খুব সামান্য টাকা। তাই প্রতিটি পয়সার হিসেব রাখতে হয় এবং দ্রুত কাজ শেষ করতে হয়।'
আরও পড়ুন বক্স অফিসে ধরাশায়ী বিবেকের 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস', প্রথম দিনে বক্স অফিস আয় কত?
তিনি আরও যোগ করেন, 'যেদিন থেকে আমি সিনেমা নিয়ে প্রকাশ্যে সত্যি বলতে শুরু করেছি সেই দিন থেকেই লড়াই শুরু হয়েছে। 'বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম', 'তাশখন্দ ফাইলস', 'কাশ্মীর ফাইলস' সব ছবিতেই আর্থিক সমস্যায় পড়েছি। এখনও সেই লড়াই জারি। দিল্লিতে গিয়ে ছবির প্রচার করব কীভাবে সেই জন্যও ধার করার কথা ভাবতে হয়েছে।'
পরিচালক স্বীকার করেছেন, 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর বক্স অফিস ফলাফলের ওপরই তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে। তিনি বলেন, 'আমার সামনে দুটো রাস্তা। যদি এই ছবির থেকে কিছুটা আয় হয় আমি এর দ্বিতীয় অংশ বানাব। 'কাশ্মীর ফাইলস' বানাতে আমাদের বাজেট ছিল ১৫ কোটি। সেখান থেকে ৩০ কোটি উপার্জন করেছিলাম। সেই টাকাই 'বেঙ্গল ফাইলস'-এ বিনিয়োগ করেছি। এ ছাড়া ধার করা টাকাও আছে যা এখনও শোধ করা হয়নি।'
২০০৫ সালে 'চকোলেট'-এর মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন বিবেক। এরপর তাঁর নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে 'গোল', 'হেট স্টোরি' ও 'জিদ'। তবে ২০১৬ সালের 'বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম'-এর পর তাঁর কেরিয়ারে আসে নয়া মোড়। এরপরই তারি করেন 'দ্য তাশখন্দ ফাইলস', 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' এবং 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'।