গত তিন বছরে রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে কটা বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে তার রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
একের পর এক দক্ষিণী সিনেমা বক্সঅফিসে রেকর্ড ভাঙছে। আঞ্চলিক গণ্ডি ছাড়িয়ে তামিল-তেলুগু-মালয়ালি এবং কন্নড় ছবির বাজার এখন গোটা দেশে। এমনকী কলকাতাতেও সিনেমা হলগুলিতে দাপাচ্ছে পুষ্পা, আরআরআর-এর মতো ছবিগুলি। কিন্তু বাংলা ছবির ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। এবার রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলা ছবির হাল ফেরাতে। গত তিন বছরে রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে কটা বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে তার রিপোর্ট তলব করল নবান্ন।
Advertisment
সোমবার রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে একটি চিঠি সমস্ত সিঙ্গল স্ক্রিন এবং মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তার। চিঠিতে উল্লেখ, ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র আইন অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যেক সিনেমা হলে বাংলা ছবি প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। গত তিন অর্থবর্ষে রাজ্যের প্রত্যেক সিনেমা হলে বাংলা ছবি প্রদর্শনের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সেই চিঠি।
একসময় মহারাষ্ট্রের বুকে সিনেমা হলগুলিতে আগে মারাঠি ছবি চলবে তার পর হিন্দি-তামিল-সহ অন্য ভাষার ছবি চলবে বলে ডাক দিয়েছিলেন শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরে। মুম্বইয়ে মারাঠি ছবির বাণিজ্য নিয়ে এই পদক্ষেপ আজও অনেকের মনে আছে। কিন্তু বর্তমানে হিন্দি-ইংরাজি এবং দক্ষিণী ছবির ভিড়ে রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে একপ্রকার উপেক্ষিত বাংলা সিনেমা। বেশি লাভের আশায় তামিল-তেলুগু ছবিগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী গ্রামীণ এলাকায় সিনেমা হলগুলিতে ভোজপুরি ছবি রমরমিয়ে চলছে। সেখানেও ব্রাত্য বাংলা সিনেমা।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বহু সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সগুলিও লাভের জন্য হিন্দি-ইংরাজি-দক্ষিণী ছবিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই বাংলা ছবির বাজার খারাপ রাজ্যেই। সেই পরিস্থিতির বদল ঘটাতেই এই রিপোর্ট তলব বলে মনে করছেন ফিল্ম সমালোচকরা।