শত নিন্দা-বিতর্ক, রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে সমালোচনাও আটকাতে পারল না। শত্তুর, নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতার শিরোপা পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সৌজন্যে 'প্রজাপতি'। মিঠুনের অনুপস্থিতিতে এই পুরস্কার হাতে তুলে নিলেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। আর ঠিক পরই মঞ্চ থেকে প্রিয় 'মিঠুনদা'র হয়ে ব্যাটন ধরলেন দেব। পাল্টা নিন্দুকদের দিলেন মিষ্টিমুখে জবাবও।
তিনি মেগাস্টার। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) মানেই বক্সঅফিসে ছোবল! আর সুপারহিট সব সংলাপ। বিনোদুনিয়ার পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও ‘মিঠুনদা’ এখন ঝোড়ো ব্যাটিং করছেন। বাংলায় মোদীর এই ‘স্টার-সেনাপতি’কে নিয়ে মাথাব্যথারও অন্ত নেই। সমালোচনা, বিতর্কও ততোধিক। তবে 'মিঠুনদা'কে (Dev Mithun) কেন্দ্র করে চর্চা যতই হোক না কেন, পর্দায় তাঁর উপস্থিতি যে ছক্কা হাঁকায়, তা বলাই বাহুল্য। সাম্প্রতিক ‘প্রজাপতি’র বক্সঅফিস নম্বর-ই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
<আরও পড়ুন: রাজনীতি-বিতর্ক সরিয়ে আবারও চেনা ছন্দে মিঠুন, মারকাটারি প্রত্যাবর্তন ‘মহাগুরু’র>
নন্দনে ঠাঁই না পেলেও, সিনেমায় বক্সঅফিস কালেকশনে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং, বলে বলে ছক্কা হাঁকিয়েছে। মাত্র ২ সপ্তাহেই কোটি কোটি টাকা আয় করেছে ‘প্রজাপতি’। আর বছরের পয়লা দিনেই রেকর্ড ব্যবসা। ১ দিনেই ১ কোটি টাকা লক্ষ্মীলাভ হয়েছে, যা বাংলা সিনেমার ইতিহাসে রেকর্ড ব্যবসা হিসেবেই ধরা হচ্ছে। নন্দনে এই সিনেমা স্লট না পাওয়ায় দেবের ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের পরই প্রশ্ন উঠেছিল, মিঠুন বিজেপির তারকা সদস্য বলেই কি সরকারি প্রেক্ষাগৃহ নন্দনে ঠাঁই হল না?
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের একাংশ বিশেষ করে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছিলেন। দেব কিন্তু পাল্টা জবাব দিতে তখনও ছাড়েননি। বলেছিলেন, "আমার দলের কারোর মিঠুনদার অভিনয় নিয়ে কথা না বলাই ভাল।" আর এদিন যখন 'সিনেমার সমাবর্তন' অনুষ্ঠানে বাংলার সাংবাদিকদের রায়ে মিঠুন চক্রবর্তী জনপ্রিয় অভিনেতার শিরোপা জিতলেন, তখনও মঞ্চে দাঁড়িয়ে জবাব দিলেন উচ্ছ্বসিত দেব। সাংসদ-অভিনেতা তথা প্রযোজক দৃঢ় কণ্ঠেই বললেন, "অন্য সব ক্যাটাগরিতে কে পুরস্কার পাচ্ছেন, তা নিয়ে সংশয় থাকলেও থাকতে পারে, তবে এই ক্যাটাগরিতে নেই।" মিঠুনের হয়ে দেবের এই জবাবেই হাততালির রোল পড়ল দর্শকদের।