Shefali Jariwala kaanta laga Girl: 'কাঁটা লাগা' গানটি রিমিক্স করেছিলেন ডিজে ডল। সেই মিউজিক ভিডিওতে প্রথম দেখা যায় শেফালি জারিওয়ালাকে। সেই সময় তাঁর অভিব্যক্তি, বুকের ট্যাটু প্রদর্শন নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। কিন্তু, রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শেফালি। এরপর রূপোলি দুনিয়ার অন্তরালে চলে যান কাঁটা লাগা গার্ল। অবশেষে ২৭ জুন রথযাত্রার দিনই সব শেষ! যৌবন ধরে রাখতে মুড়ি মুড়কির মত ওষুধ সেবনও হতে পারে শেফালির অকাল মৃত্যুর কারন।
অভিনেত্রীর দীর্ঘদিনের চিকিৎসক অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট প্রসঙ্গে ABP News-কে জানিয়েছেন, শেফালির গুরুতর কোনও অসুখ ছিল না। হৃদরোগের জন্যও কোনও ওষুধ সেবন করতেন না। তিনি শুধুমাত্র যৌবন ধরে রাখার চিকিৎসা করতেন। বিগত পাঁচ-ছয় বছর একটানা এই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন শেফালি জারিওয়ালা। পুলিশও অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে দুই বাক্স অ্যান্টি এজিং ট্যাবলেট, স্কিন গ্লোনিং ট্যাবলেট, ভিটামিন ট্যাবলেট পেয়েছে।
অভিনেত্রীর স্বামী পরাগ ত্যাগী পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৭ জুন বাড়িতে সত্যনারায়ন পুজো ছিল। উপোসের পর আগের দিন বানানো খাবার খেয়েছিলেন শেফালি। তারপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গিয়েছে লো ব্লাড প্রেসার, গ্যাসট্রিকের সমস্যার জন্যই মৃত্যু হয়েছে। আম্বোলি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে কুপের হাসপাতালে শেফালির ময়নাতদন্তের ভিডিও রিপোর্ট ৩০ জুন পাওয়া যাবে।
এরপরই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে শেফালির মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই দাবি করেছে পুলিশ। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক ২৭ জুন দুপুরেই অ্যান্টি এজিং ইনজকশন নেন। প্রায় একবছর আগে চিকিৎসক তাঁকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখনও প্রতি মাসে তা মেনে চলছেন শেফালি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ওষুধ সেবনই মৃত্যুর কারন।
আরও পড়ুন যৌবন ধরে রাখাই হল কাল! অতিরিক্ত ওষুধ-ইনজেকশনেই অকাল মৃত্যু শেফালির? মুখ খুললেন চিকিৎসক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নায়ুজনিত রোগে ভুগছিলেন। যার জন্য নিয়মিত বেশ কিছু ওষুধ সেবন করতেন। এখনও টক্সিকোলজি এবং হিস্টোপ্যাথোলজির রিপোর্টর জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। রক্ত ও আন্তরয়ন্ত্র (viscera)-এর নমুনাও সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্টের অপেক্ষা।
এক পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, 'প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে আমরা এখনি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি, যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য রিপোর্ট হতে পাচ্ছি। লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, ইতিমধ্যেই পুলিশ ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন পরিবারের সদস্য, পরিচারিকা ও কাছের বন্ধুরা, যাঁরা প্রায়ই শেফালির সঙ্গে দেখা করতেন।
আরও পড়ুন স্নায়বিক রোগে ভুগছিলেন শেফালি? অতিরিক্ত ওষুধ সেবনই কাড়ল প্রাণ! কী বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?