২০০১ সাল। থ্রিলার সিনেমা 'আজনবি' রিলিজ করল। বড়পর্দা থেকে বক্সঅফিসে একেবারে আগুন লাগিয়ে দিলেন মুম্বই নিবাসী বঙ্গতনয়া। অভিনয়ের থেকেও দর্শকদের মোহ গিয়ে পড়ল ক্যামেরার সামনে লাস্যময়ীর শরীরী ভাষায়। একথা নিঃসন্দেহে সত্যি যে, বিপাশা বসুর আগে বলিউডের কোনও অভিনেত্রী ক্যামেরারে সামনে এমন সাহসিকতা দেখাননি। তবে বুকের পাটা ছিল বাঙালি মেয়ের। আর তার জন্য অনভিপ্রেত ঘটনার শিকারও হতে হয় বিপাশা বসুকে (Bipasha Basu)।
'আজনবি' সিনেমার নায়িকা তখন আসুমদ্র হিমাচলের ঘুম উড়িয়েছেন। বিপাশার এক ঝলকে পুরুষদের হৃদস্পন্দন বাড়ল। গায়ের রং নিয়ে কটুক্তি শুনতে হলেও বঙ্গতন্বীর শরীরী হিল্লোলে আকৃষ্ট হন দর্শকরা। তাঁর অভিনয়ের থেকেও নজর পড়ল জামা-কাপড়ের ফাঁক থেকে উঁকি মারা শরীর। যার জেরে 'সেক্স সিম্বল'-এর তকমা জুটল বিপাশা বসুর। সেক্সি বাদে আর কোনও শব্দ তখনও বোধহয় পুরুষরা তাঁদের অভিধানে খুঁজে পাননি।
আর এই তকমা নিয়ে বেজায় আক্ষেপ ছিল অভিনেত্রীর। একবার সিমি গেরিওয়ালের চ্যাট শোয়ে এসে নিজমুখেই সেকথা জানান। বিপাশা বলেন, "ভারতের মতো দেশে যদি তোমাকে একবার 'সেক্স সিম্বল' হিসেবে দেগে দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। কী না, তুমি শুধু যৌনতার প্রতীক! অভিনেত্রী নও। এটা নিয়ে লোকজনের কথারও অন্ত নেই। একেকটা সিনেমায় ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু লোকে দেখল যৌন আবেদন। আমি বুঝি না কেন! তবে এখন এই বিষয়টা মেনে নিয়েছি।"
<আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অভিনেতার সঙ্গে মারপিট নোরা ফতেহির! সেটেই চড়-থাপ্পর, কী কাণ্ড!>
এরপরই বিপাশা এও যোগ করেন যে, "এখন এটাকে আমি প্রশংসা হিসেবেই ধরি। সবসময়ে বলি ১৮০ বছর বয়স হলে কিংবা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমাকে সেক্সি দেখাতে হবে। বলিউডে যেভাবে সেক্সি শব্দটা ব্যবহার করা হয়, হলিউডে কিন্তু তা নয়। ওখানে সব অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেই প্রশংসার মাপকাঠি হিসেবে সেক্সি শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তবে ভারতে কেউ বললে তখন লোকের কথা শুরু হয়ে যায় যে, এবাবা, নিশ্চয় এই মেয়েটির মধ্যে কোনও খারাপ অভ্যেস আছে….।"
'সেক্স সিম্বল' তকমার জন্য জয়পুরেও একবার হয়রানির শিকার হতে বিপাশা বসুকে। এক রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সেখানকার কর্মী এসে হঠাৎ-ই অভিনেত্রীর শরীর স্পর্শ করেন। যার জেরে বিপাশাও রেগে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। আসলে ওই ব্যক্তি চেয়েছিল যাচাই করে দেখতে যে, ইনিই আসল বিপাশা বসু কিনা। তবে অনুমতি ছাড়া গায়ে হাত দেওয়ায় বেজায় রেগে যান বিপাশা বসু।