'চিন্তা কেন করছিস? আমি আছি তো..', কঠিন সময়ে নীনা গুপ্তাকে বলেছিলেন সতীশ কৌশিক। অভিনেত্রী তখন ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তবে নীনাকে বিয়ে করতে চাননি ভিভ। এদিকে কুমারী মেয়ে গর্ভধারণ করায় মারাত্মক নিন্দা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল নীনা গুপ্তাকে। তখন অভিনেত্রীর পাশে থাকতে এগিয়ে আসেন সতীশ কৌশিক।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন সতীশ কৌশিক। সেখান থেকেই অনুপম খেরের সঙ্গে বন্ধুত্ব। আশির দশকের কথা। ১৯৮৩ সালে কুন্দন শাহর কাল্ট ক্লাসিক হিট সিনেমা 'জানে ভি দো ইয়ারো' ছবিতে অভিনয় করছিলেন সতীশ কৌশিক। যে ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহ, রবি বাসওয়ানি এবং নীনা গুপ্তাও অভিনয় করেছিলেন। সেইসময়েই অন্তঃসত্ত্বা হন নীনা গুপ্তা। কাঁধে হাত রেখেছিলেন কৌশিক।
<আরও পড়ুন: চরম দুঃসংবাদ! প্রয়াত সতীশ কৌশিক, শোকস্তব্ধ অনুপম খের, সুভাষ ঘাইরা>
সেইসময়ে নীনাকে নিন্দার হাত থেকে বাঁচাতে সতীশ তাঁকে উপদেশ দেন, "সকলকে বলে দাও, তোমার গর্ভে আমার সন্তান আছে।" পরবর্তীতে নিজে মাশাবার দায়িত্ব তুলে নিয়ে তাঁকে মেয়ের পরিচয়ে মানুষও করতে চান সতীশ কৌশিক। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীকে এও পরামর্শ দেন যে, "সন্তানের গায়ের রং যদি কালো হয় তাহলে চিন্তা কোরো না। শুধু আমার নাম বলে দিও ব্যস। পরে আমরা বিয়ে করে নেব। কেউ কিচ্ছু সন্দেহ করবে না।"
নীনা গুপ্তা তাঁর অটোবায়োগ্রাফি সচ কাহু তো বইতে ফাঁস করেন কীভাবে কঠিন সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে নীনা-সতীশের বন্ধুত্ব। বুধবার তিনি না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় দীর্ঘ কয়েক বছরের বন্ধুত্বের ইতি ঘটল।