Mukul Dev-Shilpa Dev Separation: মুকুল দেবের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টিনসেল টাউন। অপ্রত্যাশিত এই মৃত্যুসংবাদে মন খারাপ মুকুলের ভক্তদের। অভিনেতার আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। সতীর্থ বিন্দু দারা সিং মুকুলের মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে বলেছেন, অভিনেতা অবসাদে ভুহছিলেন। একাকীত্ব গ্রাস করেছিল। যার জন্য মদে ডুবে থাকতেন। অভিনেত্রী মুগ্ধ গডসেও ফাঁস করেছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁর কথায় মৃত্যুর কয়েকদিন আগে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন মুকুল। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, মুকুলের অসুস্থতা পরিবার গোপন করছে। কেউ আবার দুঃখের সঙ্গে একটিবারও মুকুলকে দেখতে এলেন না তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী শিল্পা!
মুকুলের মৃত্যুর পর এখনও শিল্পা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। মুকুল ওঁর প্রাক্তন স্ত্রী শিল্পা কেউই ব্যক্তিগতজীবন সেভাবে কখনই লাইমলাইটে আনেননি। যতদূর জানা যায় ২০০৫ সালে আলাদা হয় দুজনের পথ। কী কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায় সেই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কানাঘুষো, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছু মনোমালিন্য ছিল। সেই জন্যই মেয়ে সিয়াকে নিয়ে শিল্পা সংসার ছেড়ে চলে যান। তবে প্রয়াত অভিনেতার এক কাছের বন্ধুর কথায়, সমস্যা অতটাও গুরুতর ছিল না যার সজন্য সম্পর্ক ভেঙে যাবে। খুবই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হত। বিয়ে টিকিয়ে রাখা দুজনেরই দায়িত্ব বলে মন্তব্যও করেন তিনি। একা কাউকে কখনই দোষারোপ করা যায় না।
আরও পড়ুন 'মধ্যরাতে যখন প্রাক্তন স্ত্রীর ফোন এল...', কী করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা মুকুল দেব? শুনলে চোখে জল চলে আসবে
কয়েক বছর পিছনে ফিরে গেলে মনে পড়বে ২০২০ সালে Eastern Eye-কে দেওয়া মুকুলের সাক্ষাৎকার। স্মৃতি হাতড়ে প্রাক্তন স্ত্রী প্রসঙ্গে বলেছিলেন, '২০০২ সালে ৩০ ডিসেম্বর আমার মেয়ের জন্ম। তখন আমি দিল্লিতে। মধ্যরাতে প্রাক্তন স্ত্রী শিল্পার ফোন। পরদিন সকালে আমার সদ্যোজাত মেয়েকে আমার দুই বাহুতে জড়িয়ে ধরি। সেই মুহূর্তটা ছিল জীবনের সেরা মুহূর্ত।' ওই সাক্ষাৎকারে মুকুল আরও একটি সুন্দর মুহূর্তের কথা শেয়ার করেছিলেন যেটা কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। অভিনেতা বলেছিলেন, 'যেদিন আমার মেয়ে প্রথম স্কুলে গেল। দিল্লির শ্রীরাম স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। আমার জীবনে ওটা ছিল গর্বের দিন। আমরা দুজনেই খুব চিন্তিত ছিলাম। কারণ ওর বয়স তকন খুবই কম। স্কুলের পড়াশোনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা। কিন্তু, ভাল মেধার জন্য খুব ভাল ভাবে পাশ করেছিল।'