Advertisment

‘‘আমরা ছ্যাবলামো করি না’’, বললেন যাত্রাপাড়ার সুচিত্রা সেন, সহমত চিৎপুরের উত্তম কুমার

দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রাম-বাংলা কাঁপাচ্ছেন অনল-কাকলি। চিৎপুরের যাত্রাপাড়ার উত্তম-সুচিত্রা জুটি। কেরিয়ার, বঞ্চনা, সাফল্য কিংবা অপমান, সবকিছু নিয়ে অকপট যাত্রাপাড়ার অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক জুটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
chitpur yatrapara, anal-kakoli

২১ বছর ধরে চিৎপুরের হিট জুটি অনল-কাকলি। ছবি- শশী ঘোষ, আই ই বাংলা।

যাত্রাপাড়ার উত্তমের বাড়ি চিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তেই, নায়কোচিত কায়দায় উদ্ধারকর্তা স্বয়ং অনলকুমার। জিপিএসের ডিরেকশন মোতাবেক তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েই দেখা গেল দেওয়ালজুড়ে যাত্রা কাটআউট। আপ্যায়ন করলেন নায়ক। কয়েক মিনিট পর সানগ্লাস পরে হাজির হয়ে গেলেন নায়িকাও। বসার জন্য নায়কের পাশটিই বেছে নিলেন কাকলি।

Advertisment

কেমন লাগে দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে যাত্রাস্টার তকমা ধরে রাখতে?

অনল- আমি একেবারেই এটা উপভোগ করি না। আমাদের পরে আর কোনও নাম সেভাবে উঠে আসেনি। আমরা যে শেষ স্টার, এটা ভাবতে কষ্ট হয়। এরকম একটা ইন্ডাস্ট্রিতে আর কোনও স্টার না থাকাটা খুবই দুঃখজনক।

কাকলি- এখন অনেক নতুন ছেলে-মেয়ে আসছে, ভাল অভিনয়ও করছে তারা, কিন্তু স্টার হচ্ছে না, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

যাঁরা যাত্রা দেখেন না, তাঁদের অনেকেও অনল-কাকলির নাম শুনেছেন...

কাকলি- একদমই তাই।

অনল- ডেডিকেশন লাগে এজন্য। আমরা যেভাবে ২১ বছর আগে...

কাকলি(অনলকে থামিয়ে)- ২১ বছর আগে আমরা জুটি হিসেবে কাজ শুরু করি। কিন্তু তারও আগে ওর ১০ বছরের লড়াই ছিল। আমারও ১০ বছরের লড়াই ছিল।

অনল- অভিনয়ের জন্য আমরা নিজেদেরকে সঁপে দিয়েছি।

কাকলি- ১০০ শতাংশেরও বেশি আমরা দিয়েছি। এখনও মনে হয় কিছু জানি না। আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক। সহজে মন জয় করার জন্য, কতগুলো চটুল সংলাপ, চটুল জামা-কাপড় পরে কিছু করি না। এমন কিছু করি,যা সমাজের জন্য কিছু বার্তা দেয়। নিছক বিনোদনের জন্য যাত্রা করি না।

অনল- এখন আর কেউ এত সময় দিতে চান না। সেজন্যই হয়তো নতুন কোনও স্টার তৈরি হয়নি।

কাকলি- এখন সবাই টাকার পেছনে দৌড়োয়, রাতারাতি স্টার হতে চায়, সব সুযোগ-সুবিধা নিতে চায়। কিন্তু চট করে তো কিছু হয় না, অনেক ঘষে মেজে তৈরি হতে হয়।

অনল- আমাদের সময়টা কঠিন ছিল খুব। বড় বড় শিল্পীদের থেকে অসহযোগিতা পেয়েছি। সব কথা তো বলা যায় না।

আরও পড়ুন, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা কি এবার গিনেস বুকে?

chitpur yatrapara, anal- kakoli আই ই বাংলার সামনে নায়ক-নায়িকার মুডে পোজ দিলেন অনল-কাকলি। ছবি- শশী ঘোষ, আই ই বাংলা।

আর্থিক দিকটা তো সবাই ভাববেনই, এটাই তো স্বাভাবিক

অনল- হ্যাঁ, সেটা তো ঠিকই। কিন্তু কাজ করে তার বিনিময়ে উপার্জনের মানসিকতা চলে গেছে। এখন কাজ না দিয়ে সবকিছু পাওয়ার মানসিকতা বেশি।

কাকলি- সবাই ভাবে যাত্রার তো আর কিছু হবে না। যতটা পারি কামিয়ে নিই সব। এখন কাজ না করেও অনেকে সবকিছু পাচ্ছেন।

অনল- অনেক প্রযোজক আছেন, যাঁরা কিচ্ছু জানেন না। এঁরা এই সর্বনাশের জন্য অনেকটা দায়ী।

যাত্রাপাড়ায় অনল-কাকলি জুটি তো একটা ইতিহাস. ২১ বছর ধরে হিট জুটি. কীভাবে এই জুটি হল?

কাকলি- এরকম জুটি আর হয়তো তৈরি হবে না। ২১ বছর ধরে এরকম সফল জুটি হলিউড-বলিউড-টলিউড, কোথাও নেই। এটা একটা ইতিহাস।

অনল- মঞ্চে একবার নিজেদের মতো এক্সটেম্পোরি শুরু করি। যা লেখা থাকত না তার বাইরে সংলাপ বলে এক্সপেরিমেন্ট করতে শুরু করি। আমি জানতাম না, ও কী বলবে, আর ও জানত না আমি কী বলব। সিনের পর গ্রিনরুমে আমরা আলোচনা করতাম, কী কেমন, ঠিক ছিল তো? এভাবেই শুরু হয়।

কাকলি- ২১ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। এখন আমি বা ও যদি অন্য কারও সঙ্গে কাজ করি, দর্শক নেবেই না।

যাত্রাপাড়ার উত্তম-সুচিত্রা বলা হয় আপনাদের, এটা কেমন লাগে?

কাকলি- খুব ভাল লাগে এটা শুনতে। ফেসবুকে একবার সাদা-কালো ইম্প্রেশন দিয়ে একটা প্রোফাইল পিকচার আপলোড করি, যা দেখে সবাই বলছেন ‘‘আপনাকে ম্যাডাম সেনের মতো দেখতে।’’ যদি বলি এটা শুনতে ভাল লাগছে না, তবে মিথ্যে বলা হবে। তবে বেশ লজ্জা লাগে। একটাই ওঁর সঙ্গে মিল আছে, মিসেস সেন আর আমার জন্মদিন একইদিনে। অমন একজন মহীরুহের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, এটা ভেবে ভাল তো লাগেই। তবে ওঁর সৌন্দর্য্যের কাছে আমি নখের যোগ্য নই।

অনল, আপনার কেমন লাগে?

অনল- উত্তম কুমারের মতো অভিনয় করতে পারি না, পারবও না। (অনলের কথা শুনে হাসলেন কাকলি) তবে লোকে যখন আমাদের উত্তম-সুচিত্রা বলেন, বেশ ভাল লাগে।

আরও পড়ুন, দৃষ্টিকোণ: ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাজ, কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় প্রথম অভিনয়, আর কী কী বললেন প্রসেনজিৎ

উত্তম-সুচিত্রার মধ্যেও ইগো সমস্যা ছিল। আপনাদের মধ্যে কখনও ইগো ক্ল্যাশ করেনি? কখনও ঝগড়া হয়েছে?

একসঙ্গে বলে উঠলেন, না, ঝগড়া সেভাবে হয়নি। তর্কাতর্কি তো হতেই পারে। তবে সবটাই হেলদি।

অনল- আমাদের ইগো প্রবলেম নেই। আমরা কেউ কাউকে হিংসে করি না।

আচ্ছা, কোথাও কি মনে হয়, ব্যঙ্গ করে আপনাদের উত্তম-সুচিত্রা বলা হয়?

(একসঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ করে উঠলেন অনল-কাকলি)

অনল- আমার মনে হয় ওঁরা এত উত্তম-সুচিত্রা দেখেছেন যে, তারপর আমাদের দেখে ওই সামঞ্জস্য পেয়েছেন, তাই হয়তো আমাদের উত্তম-সুচিত্রা বলা হয়। অনেক সম্মান দিয়ে বলেন ওঁরা।

কাকলি- পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব সম্মান করে। হেয় করে না কেউ।

দর্শকদের রুচি কি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে?

অনল-যাত্রা খুব কম দেখি। তবে যেটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়, যাঁরা এসব করছেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। বাজারে ২০০ টাকা ও ২ হাজার টাকা, দু‘রকম ইলিশই পাওয়া যায়। তবে এজন্য দর্শকদের রুচি বদলায়নি।

কাকলি- দর্শকদের রুচি এতটুকুও বদলায়নি।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একসময় বলেছিলেন, দর্শকের রুচি খারাপ হয়ে গেছে।

অনল- সৌমিত্রবাবুর ভুল ধারণা। উনি একবছর যাত্রা করতে এসে এটা বলেছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটা আবৃত্তির শো যদি চন্দ্রকোণা রোডে করি, তাহলে তারা দেখবে না।  চন্দ্রকোণা রোডের লোকেদের যে রুচি, তাদের যে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, সেটার সঙ্গে রবীন্দ্রসদন এক নয়।

kakoli, yatrapara ফেসবুকে কাকলির এ ছবি যেন অবিকল সুচিত্রা সেন! ছবি- ফেসবুক

যাত্রার ভাল দর্শকের সংখ্যা কি কমছে?

কাকলি- না, না,  আমাদের সময়ের যাঁরা দর্শক, তাঁদের বয়স বেড়েছে, তাঁরাও যেমন যাত্রা দেখছেন, আজকের প্রজন্মও যাত্রা দেখছে। যাঁরা বলেন যে, আজকের প্রজন্ম যাত্রা দেখে না, তাঁরা ভুল বলেন। স্মার্টফোন নিয়ে আজকের ছেলে-মেয়েরা দিব্যি যাত্রা দেখে। এখন বিনোদনের এত মাধ্যম থাকলেও লোকে যাত্রা দেখে। গ্রামে আজও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম যাত্রা।

অনল- যাঁরা আমাদের প্রথম জীবনের অভিনয় দেখেছেন, তাঁরা এখনও দেখছেন। তাঁদের পরের প্রজন্মও যাত্রা দেখছে।

কখনও সিনেমা, টেলিভিশনে অভিনয় করার ইচ্ছে হয়নি?

কাকলি- করছি তো। তবে খুব লার্জ স্কেলে করিনি এখনও।

অনল- করি তো আমরা। ইনফ্যাক্ট ২টো ছবির গল্প লিখেছি। আরও একটা কাজ শুরু হচ্ছে।

আরও পড়ুন, Film Review: দৃষ্টিকোণ, মুগ্ধ করার মত একটি সিনেমা

কোথাও কি মনে হয় যাত্রার এত বড় স্টার, যদি সিনেমা বা টেলিভিশনে ছোট চরিত্র করি, তাহলে ইমেজ খারাপ হতে পারে?

কাকলি- সেজন্যই আজেবাজে চরিত্র করি না। এমনকি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনল-কাকলিকে অনেক সম্মান করে। তাই আজেবাজে চরিত্র দেয়না কেউ।

অনল- আমাদের নেয় না, কারণ আমরা সময় দিতে পারি না।

কেরিয়ার শুরুর সময় যাত্রাকে বেছে নিলেন কেন? সিনেমা বা টিভিকে বাছলেন না কেন?

কাকলি- তখন টেলিভিশন ছিল না এত। আমাদের স্টেজের প্রতি বেশি আকর্ষণ ছিল। সিনেমা থেকে অনেক অফার পেয়েছি। কিন্তু নানান প্রতিবন্ধকতায় করা হয়নি।

অনল- একদমই তাই, স্টেজ আমাদের খুব প্রিয়।

কাকলি- যাত্রায় কাকলি-অনল একটা ব্র্যান্ড এখন। সবাই চেনে আমাদের। এখন ছবি করছি। ও ছবির জন্য লিখছে।  সেখানে অভিনয়ও করব। মুখ দেখানোর জন্য সিনেমা করব না। ভাল চরিত্র পেলে নিশ্চয়ই সিনেমা করব। তবে এখন আঠেরো বছরের খোকাখুকি সাজব না।

২১ বছর বাদে কি কোথাও আক্ষেপ হয়, যে এই জুটি যদি বড়পর্দায় হত?

কাকলি- জানি না, অনলের এই আক্ষেপ আছে কিনা। যেহেতু ওটা আর হয়নি, তাই এখন আর ভাবি না। আমরা যাত্রা নিয়ে খুব খুশি।

অনল- একসময় সিনেমায় অভিনয়ের খুব শখ ছিল।তখন অনেক ঘোরাঘুরি করেছিলাম সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। এমনকী একবার সত্যজিৎ রায়কে ফোনও করেছিলাম। তখন আমি স্টেজ করছি। সিনেমায় হিরো হওয়ার ইচ্ছে ছিল। একবার প্রসেনজিতের থিয়েটার দেখতে গিয়ে মনে হয়েছিল উনি তো সিনেমাও করেন, আবার থিয়েটারও। তখন মনে হয়েছিল, আমি কেন সিনেমা করতে পারছি না। তবে যাত্রায় আসার পর আর সিনেমা নিয়ে ভাবিনি।

আরও পড়ুন, সিনেমা এবং: শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ

ধরুন, এমন কোনও ভাল সিনেমার অফার পেলেন, ওই সিনেমার জন্য যাত্রা করা যাবে না এমন শর্ত রয়েছে, তখন কী করবেন?

অনল- সিনেমা করব না। যাত্রা করব আগে। সময় থাকলে সিনেমা করব।

কাকলি- যাত্রাই করব। যাত্রার ফাঁকে সিনেমা করব।

অনল- সিনেমার চেয়ে যাত্রা ছোট মাধ্যম নয়। যাত্রা করি বলে কোনও আক্ষেপ নেই।  অনেকে যাত্রাকে নিয়ে বিদ্রূপ করেন, তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না।

কাকলি- যাত্রায় অভিনয় করা খুব কঠিন। সিরিয়ালে অনেক সময় ভিলেনের মুখে শুনি, ‘‘যাত্রাপালা শুরু হল নাকি!’’ এটা নিয়ে ফেসবুকে আমি লিখেওছিলাম যে, এভাবে অসম্মান করা হয় কেন? কান্নাকাটির দৃশ্য মানেই কেন বলা হয় ‘‘যাত্রা করিস না।’’ এরকম ব্যঙ্গ করা উচিত নয়।

অনল- অনেকেই বলেন যে নাটকবাজি করিস না। তাহলে কি নাটককে অপমান করা হচ্ছে? আমি এসবকে বিদ্রূপ হিসেবে ধরি না।

anal-kakoli, chitpur yatrapara আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই: অনল। যাত্রামঞ্চে যুগলবন্দি অনল-কাকলি।

আর্থিক দিক থেকে সন্তুষ্ট আপনারা?

কাকলি- যাত্রা থেকে যা পেয়েছি, তাতে খুশি। তবে হয়তো অর্থনৈতিক দিক থেকে আমাদের অনেক প্রাপ্য ছিল। কিন্তু এসব ভাবি না।

অনল- আমাদের অত চাহিদা নেই।

অবসর সময়ে সিনেমা দেখেন?

কাকলি- হ্যাঁ, ভাল সিনেমা দেখতে ভালবাসি।

আরও পড়ুন,‘আমি আসবো ফিরে’- অঞ্জন দত্তের ফিরে আসার গল্প

অনল-কাকলির প্রিয় জুটি কে?

কাকলি- উত্তম-সুচিত্রা তো অবশ্যই।

কোনও জুটিকে অনুসরণ করেন?

অনল- দু’জনকে অনুসরণ করি, তবে জুটি হিসেবে নয়, একজন উত্তম কুমার, আরেক জন উৎপল দত্ত।

আচ্ছা, আপনাদের প্রিয় অভিনেতা?

অনল- অমিতাভ বচ্চন, অঞ্জন দত্তকে ভাল লাগে।

কাকলি- অমিতাভ বচ্চন, ঋত্বিক চক্রবর্তীকেও ভাল লাগে।আলিয়া ভাট দুর্ধর্ষ অভিনেত্রী।

কাকলি, আপনার বাড়িতে কে কে আছেন?

স্বামী ও মেয়ে আছে।

chitpur yatrapara, anal-kakoli যাত্রার পোস্টারে অনল-কাকলি।

মা’কে নিয়ে মেয়ে কী বলে?

ওকে অনেকে জিজ্ঞেস করে, ও অভিনয়ে আসবে কিনা। ও বলে, ‘‘মা যেখানে আছে, সেখানে গিয়ে আমি কী করব, আমি খুব খারাপ করব, তাই অভিনয়ে যাচ্ছি না।’’ ও খুব ভাল গান করে।

আর অনল আপনার বাড়িতে কে কে আছেন?

অনল- আমি ব্যাচেলর। তবে আমার স্ত্রী আছে, সে হল যাত্রা। (অনলের কথা শুনে হাসলেন কাকলি) আর প্রতিবছর একটা সন্তান জন্ম দিই, সেটা হল নাটক।

কাকলি- আমরা খুব ভাল বন্ধু। ও আমার পারিবারিক বন্ধু।

আবার জুটির কথায় ফিরছি, ২১ বছরে সবথেকে হিট যাত্রাপালা কী?

কাকলি- ২১টি যাত্রাপালাই সমাদৃত হয়েছে।

অনল- জুটি হিসেবে প্রথম যাত্রাপালা ‘মেনকা মাথায় দিল ঘোমটা’ খুব হিট করেছিল। তবে লোকে বলে, ‘আমি মিস ক্যালকাটা’ সবথেকে হিট। ‘একদিন রাত্রে’ ওর জীবনে মাইলস্টোন।

দিন দিন যাত্রার জনপ্রিয়তা কমেছে...

প্রশ্ন শেষ করার আগেই দুজনে বললেন. ‘‘কে বলেছে, মানি না আমরা। এতটুকুও জনপ্রিয়তা কমেনি।’’

যাত্রার জনপ্রিয়তা কমেছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকতে পারে, তবে অনল-কাকলি জুটি যে পুরনো হয়নি, তা এই দু’জনকে দেখলেই মনে হয়।

ও হ্যাঁ, আপ্যায়ন করেছিলেন নায়ক, আর ফেরার সময় এগিয়ে দিলেন নায়িকা।

yatra kolkata
Advertisment