জাভেদ আখতার কন্যা ফের একবার আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর কারণ? প্রকাশ্যে রোম্যান্স দেখানো নিয়ে সেন্সরশিপের সমস্যা। পরিচালক জোয়া আখতার দাবি করেছেন, সব দেখাতে পারলে, দুজনের মধ্যে অন্তরঙ্গতা কেন নয়?
সিনেমার ক্ষেত্রে অনেক লাগামছাড়া দৃশ্যায়ন বরাবরই বাঁধা সৃষ্টি করে। কিন্তু OTT এর ক্ষেত্রে সেই সমস্যা একটু কম হলেও বর্তমানে পরিচালকদের কাজে বাঁধা আসছে। জোয়া স্পষ্ট দাবি করেছিলেন যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শনে কোনও বাঁধা থাকা কথা নয়। যেখানে, একজন মহিলা নির্যাতিত হলে সেটা দেখানো হয়, সেখানে ঘনিষ্ঠতা দেখাতে সমস্যা কোথায়? পরিচালক বললেন...
কী বলছেন তিনি?
"আমি এমন এক সময়ে বড় হয়েছি যেখানে পর্দায় নারীরা নির্মম, মারধর, হয়রানি এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হতেন। যখন এই সব অনুমোদিত ছিল, তখন আপনি একটি চুম্বন দেখতে পারবেন না? দুজন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রেম, কোমলতা, শারীরিক ঘনিষ্ঠতা দেখতে দেওয়া উচিত।"
এখানেই শেষ না। জোয়া জাভেদ আখতারের মেয়ে হওয়ার দরুন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। পরিচালকদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। একেকজনের গল্প বলার ধরণ-স্টাইল একেকরকম। সেক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শনের ব্যাখ্যা একেকরকম। জোয়া বললেন...
"রমেশ শিপ্পির শোলে অন্যধরনের ছবি। সেখানে যে ধরনের মারামারি দেখানো হয়েছে, সেটা সেই যুগে অন্যরকম ছিল। তার প্রদর্শনের পছন্দ ছিল অন্যরকম। আমেরিকানদের সাথে তুলনা করলে ফরাসিরা পুরুষ নগ্নতার সাথে বেশি খোলামেলা। এটি একটি অত্যন্ত সাংস্কৃতিক বিষয়, এবং এটি নির্ভর করে আপনি নিজের সাথে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আপনি যৌনতাকে কীভাবে দেখেন, আপনি কীভাবে আপনার শরীরকে দেখেন, ইত্যাদি… আমি জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা-তে যা করেছি তা করব না লাস্ট স্টোরিতে।"
জোয়ার এধরণের মন্তব্যের পরে তিনি বেশ প্রসংশা কুড়লেন। বেশিরভাগ তাঁকে সাধুবাদ জানালেন। এমনকি জোয়ার বাবা জাভেদ আখতারও বলেন, আপনি যদি সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য রোমান্স দেখান, সেটা অদ্ভুত। কিন্তু, যদি সত্যিকারের রোমান্স হয় তাহলে অন্য ব্যাপার।