একই বিষয় নিয়ে দুটি ধারাবাহিক দুটি চ্যানেলে এলে প্রতিযোগিতা অবশ্যম্ভাবী। তাই দুটি চ্যানেলকেই ভাবতে হচ্ছে কীভাবে টিআরপি ধরে রাখা যায়। তাই দুটি চ্যানেলই তাদের স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছে ভেবেচিন্তে। স্টার জলসা-র ধারাবাহিকে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটবেলার গল্প বলা শুরু হয়ে গিয়েছে, ওদিকে করোনা শাটডাউনের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে জি বাংলা-র 'কাদম্বিনী--র লঞ্চ। তাই জি বাংলা-র ধারাবাহিকটি নিয়েই এখন কৌতূহল তুঙ্গে।
প্রথমত, কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রে দেখা যাবে দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী ঊষসী রায়কে। 'বকুলকথা'-র বকুলকে এই চরিত্রে দেখতে তাই দর্শক অত্যন্ত আগ্রহী। কিন্তু যে কারণে এই ধারাবাহিকটি স্টার জলসা-র ধারাবাহিকের থেকে আলাদা হবে তা হল টাইমলাইন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিনোদন পর্ব ১: মন ভাল করা ৫টি বাংলা ছবি, দেখা যাবে অনলাইনও
স্টার জলসার ধারাবাহিক 'প্রথমা কাদম্বিনী' শুরু হয়েছে কাদম্বিনীর ছোটবেলা থেকে। প্রথম কয়েকটি এপিসোডেই দর্শকের মন জয় করেছে ছোট বিনি। এই ছোট বিনির ট্র্যাকটি কমপক্ষে একমাস তো চলবেই। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের নতুন এপিসোড আর সম্প্রচার হবে না করোনা শাটডাউনের জন্য। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সম্ভবত আবারও দেখা যাবে নতুন এপিসোড। অর্থাৎ মে-জুন মাস পর্যন্ত ছোট বিনির ট্র্যাকটি থাকবে।
এর পরে কিশোরী বিনির চরিত্র আসতেও পারে, না-ও পারে। কিন্তু জি বাংলা-র 'কাদম্বিনী'-র প্রোমোতেই ইঙ্গিত মিলেছে যে এখানে গল্প শুরু হবে কাদম্বিনীর বড়বেলা থেকে অর্থাৎ সদ্য তরুণী কাদম্বিনী যিনি পণ করছেন যে তিনি পড়াশোনা শিখে ডাক্তার হবেন--
কাদম্বিনীর এই প্রোমো থেকে অনেকের মনে পড়ে যেতেই পারে বিখ্যাত হলিউড ছবি, মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত 'জুলি অ্যান্ড জুলিয়া'-র কথা। বলা হয় পঞ্চাশ-ষাটের দশকে মার্কিনিদের নানা ধরনের ইওরোপিয়ান, বিশেষত ফ্রেঞ্চ কুইজিন রান্না করতে শিখিয়েছিলেন জুলিয়া চাইল্ড তাঁর কুকবুক ও অসম্ভব জনপ্রিয় টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন হাতে গোনা সেই প্রথম মহিলাদের একজন, যাঁরা পুরুষশাসিত কেটারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন পেশাদার শেফ হবেন বলে। তার জন্য প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত বুলি হতে হয়েছিল জুলিয়াকে। কিন্তু তাঁর এই উদ্যোগের পিছনে বরাবর উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামী।
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিৎসক হয়ে ওঠার পিছনেও তাঁর স্বামী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। প্রোমোতে এই দম্পতির সম্পর্কের ঝলকও দেখেছেন দর্শক। সব মিলিয়ে বাংলার প্রথম মহিলা চিকিৎসকের জীবনের গল্প বলায় এই ধারাবাহিক টাইমলাইন অনুযায়ী, প্রথম থেকেই খানিকটা এগিয়ে থাকবে।