Zee Bangla: পথেঘাটে প্রতিনিয়ত যাঁদের দেখে সমাজের মূলস্রোতের মানুষ ঘৃণা অথবা ভয় অনুভব করেন, সেই বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের কথা উঠে আসবে জি বাংলা-র নতুন ধারাবাহিকে। সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি এসেছে এই ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো এবং বেশিরভাগ নেটিজেনই এমন একটি বিষয় নির্বাচনের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন নির্মাতাদের।
বৃহন্নলাদের প্রসঙ্গ ভারতীয় ছবি বা টেলিভিশন খুব কমই এসেছে। ১৯৯৭ সালের ছবি, কল্পনা লাজমি পরিচালিত 'দরমিয়াঁ'-তে এই সম্প্রদায়ের মানুষের যন্ত্রণার কথা অত্যন্ত সহমর্মিতার সঙ্গে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ছবিতেই এই সম্প্রদায়কে খুবই সংকীর্ণ একটি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: নাগরিক বিরোধিতায় ‘শ্রীময়ী’, কী বললেন চিত্রনাট্যকার
এঁরা খুব হিংস্র, ক্ষতিকারক এমন একটি ধারণা যে বদ্ধমূল হয়ে আছে সাধারণ মানুষের মনে, তার জন্য কিছুটা দায়ী কিন্তু গণমাধ্যম। এই সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মিশে, নিরপেক্ষভাবে এঁদের জীবনযাপনের সমস্যা ও সীমাবদ্ধতাকে ছবিতে বা ধারাবাহিকে বলা অত্যন্ত প্রয়োজন। জাতীয় চ্যানেলগুলির মধ্যে একমাত্র কালারস টিভি-র 'শক্তি: অস্তিত্ব কে এহসাস কি' ধারাবাহিক এই বিষয় নিয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ।
ওই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র বা নায়িকাই এক বৃহন্নলা। ২০১৬ সালে শুরু হয় সম্প্রচার যা এখনও চলছে। কিন্তু বাংলা টেলিভিশনে একটি বৃহন্নলা চরিত্র এবং তার মাতৃত্বের অধিকারের প্রশ্ন তোলেনি কোনও ধারাবাহিক, সাম্প্রতিক সময়ে। দেখে নিতে পারেন নতুন এই ধারাবাহিকের প্রোমোটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
জি বাংলা ও প্রযোজক সংস্থা অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের এই ভাবনা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। বৃহন্নলাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে যে সংস্কারগুলি কাজ করে, এই ধারাবাহিক যদি সেগুলির মূলে আঘাত করতে হবে, তবেই নির্মাতাদের পরিশ্রম সার্থক। আশা করা যায় এই সম্প্রদায় সম্পর্কে যথেষ্ট গবেষণা করেই ধারাবাহিকটি লেখা হচ্ছে।
'শক্তি: অস্তিত্ব কে এহসাস কি'-তে অবশ্য গল্পটি পরবর্তীকালে বড়ই জটিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তেমনটা না হলেই ভাল।