প্রযোজক করিম মোরানির দুই মেয়েই আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। দুজনেই এখন সুস্থ। মুম্বইয়ের নায়ার হসপিটালের চিকিৎসকেরা এই রোগের চিকিৎসায় প্লাজমাথেরাপি প্রয়োগ করছেন সম্ভাব্য চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে। সেই উদ্দেশ্যেই রক্ত দিলেন অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা জোয়া মোরানি। শনিবার ৯ মে তিনি মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালে রক্ত দিয়ে জানালেন, যাঁরা সেরে উঠছেন তাঁদের সকলেরই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
কনিকা কাপুর আক্রান্ত হওয়ার পরেই জানা যায় করিম মোরানির মেয়ে শাজা মোরানি আক্রান্ত। একই সঙ্গে আক্রান্ত হন জোয়া ও করিম মোরানি নিজেও। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় চিকিৎসা। বেশ অল্পদিনেই সেরে ওঠেন জোয়া। ছাড়া পাওয়া পরেও নিয়মমাফিক কোয়ারান্টাইনে থাকেন বেশ কিছুদিন। এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি সাহায্য করতে চান করোনা-চিকিৎসায়। তাই ৯ মে রক্তদান করলেন জোয়া প্লাজমাথেরাপির চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়়ুন: ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল, জর্জরিত অপরাজিতা
সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে রক্তদানের ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তোলা একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন জোয়া। পাশাপাশি জানিয়েছেন তাঁর অনুভূতির কথা। তিনি লেখেন, ''আজ নায়ার হসপিটালে প্লাজমাথেরাপির জন্য রক্ত দিলাম। দারুণ লাগছে। সবকিছুরই একটা ভাল দিক থাকে বোধহয়। সবাই খুবই সতর্ক ছিলেন রক্ত নেওয়ার ব্যাপারে। সমস্ত যন্ত্রপাতি যা যা ব্যবহার করা হল, সবই একেবারে নতুন আর সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানও উপস্থিত ছিলেন, কোনও কারণে যদি কোনও এমার্জেন্সি হয় সেই জন্য। কোভিড-১৯ থেকে যাঁরাই সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাঁদের সবার এই ট্রায়ালটি নেওয়া উচিত, অন্যান্য আক্রান্তদের সাহায্য করার জন্য। ডক্টর জয়ন্তী শাস্ত্রী ও ডক্টর রমেশ ওয়াঘমোরে-কে অনেক ধন্যবাদ আমার যত্ন নেওয়ার জন্য। আশা করি এটা কাজে লাগবে।''
জোয়া ওই পোস্টে এটাও লেখেন যে রক্তদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ তিনি হসপিটাল থেকে একটি সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এছাড়া ৫০০ টাকাও পেয়েছেন সম্মাননা হিসেবে। যাঁরা সেরে উঠছেন এই অসুখ থেকে। তাঁদের সবাইকেই চিকিৎসার জন্য রক্তদান করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী।