/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/zubeen-2025-09-19-16-10-38.jpg)
চলে গেলেন জুবিন...
এই পুজো অসমের জন্য একেবারেই সুখ বার্তা নিয়ে আসেনি, বরং নিয়ে এসেছে শোক বার্তা। যে মণ্ডপে মণ্ডপে পুজোয় মা দুর্গার গান বাজত, সেই মণ্ডপ সেজে আছে সাদা ফুলে জুবিনের ছবির চাদরে। অসম আজও শোকে স্তব্ধ প্রিয় সংগীত সম্রাট জুবিন গর্গের আকস্মিক প্রয়াণে। তবে শোকের মাঝেই শুরু হয়েছে তাঁর অমূল্য কণ্ঠস্বরকে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ AI ও আধুনিক প্রযুক্তির যুগে যাতে তাঁর কণ্ঠস্বরের অপব্যবহার না হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গর্গের দীর্ঘদিনের সহযোগী গায়ক-সুরকার মানস রবিন, নিশ্চিত করেছেন যে প্রয়াত শিল্পীর কণ্ঠের জন্য একটি অনন্য ‘ডিজিটাল স্বাক্ষর’ তৈরির কাজ চলছে।
সরুসাজাই স্টেডিয়ামে পিটিআইকে রবিন জানান, "আজ প্রযুক্তি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে এআই-ভিত্তিক সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত কণ্ঠস্বর নকল করা সম্ভব। ভবিষ্যতে জুবিনের ভয়েস স্যাম্পল, অন্য শিল্পীরা নিজেদের নামে ব্যবহার করতে পারে। তাই আমরা এমন এক ব্যবস্থা করছি যাতে তাঁর আসল কণ্ঠস্বর বাজলেই ডিজিটালি তার উৎস শনাক্ত করা যায়।"
Zubeen Garg Demise: দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, অসমের রাজপুত্র জুবিনকে চোখের জলে বিদায়
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, যেমন এখন কোনও ব্যক্তির মুখ অন্যের শরীরে বসালে তা শনাক্ত করা যায়, তেমনি প্রযুক্তির মাধ্যমে কণ্ঠস্বরেরও আসল উৎস চিহ্নিত করা সম্ভব। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কেউ যেন জুবিনের স্বর বিকৃত করতে না পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য।
মানস রবিন জানান, জুবিনের অধিকাংশ সৃষ্টিই ইতিমধ্যেই সংরক্ষণাগারভুক্ত হয়েছে। তাঁর গান ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটালভাবে রাখা হয়েছে। এখন প্রয়োজন তাঁর কণ্ঠের একটি নিরাপদ ডিজিটাল স্বাক্ষর, যা ভবিষ্যতে নকল বা এআই-জেনারেটেড কণ্ঠস্বর থেকে আলাদা করতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, "আসামজুড়ে এবং এর বাইরেও আজ যে স্বতঃস্ফূর্ত শোকের ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তা জুবিনের প্রভাবেরই প্রমাণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। এটি গোটা দেশকে বোঝাচ্ছে, কেন জুবিন শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না- তিনি আসামের আত্মা, আবেগ ও সংস্কৃতির প্রতীক।"