লিখেছেন অন্নি আরিফ
A look at the extreme weather events in India recently: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত আবহাওয়ার চরম দুর্বিপাকে পড়েছে। কখনও মুষলধারে বৃষ্টি, কখনও বন্যা কিংবা খরা অথবা ঘূর্ণিঝড়ের মত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, এগুলো জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফল। ৩০ জুলাই কেরলে চা বাগান এলাকায় ভূমিধসে ৫০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছেন।
তাপপ্রবাহ, দিল্লিতে বন্যা
প্রচণ্ড গরমের পর জুন মাসে রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়। মুষলধারে বৃষ্টির কারণে জুন মাসে বিমানবন্দরের ছাদ ধসে পড়ে। ২৭ জুলাই তিনজন শিক্ষার্থী প্লাবিত বেসমেন্টের ক্লাসরুমে ডুবে যান। মে মাসে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের কারণে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে একটি বিলবোর্ড ধসে পড়ে। তাতে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। জুলাই মাসে আবার আকস্মিক বন্যা মুম্বইয়ের পরিবহণ ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।
অসমে নদী উপচে পড়েছে
মৌসুমি বায়ুর জেরে বর্ষার বৃষ্টির পর উত্তর-পূর্বে অসম রাজ্যে জুলাই মাসে বেশ কয়েকটি নদী স্ফীত হয়ে ওঠে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা যান। কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। এক শিংওয়ালা গন্ডার-সহ ১৫০টিরও বেশি বিরল প্রাণীতে ভরপুর কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে যায়।
দক্ষিণ ভারতে ঘূর্ণিঝড়
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে তামিলনাড়ু রাজ্যে অবিরাম বর্ষণের ফলে আশেপাশের এলাকা, রাস্তা ও রেলপথ প্লাবিত হয়। যাতে কমপক্ষে ৩১ জন মারা যান।
হিমালয়ে হিমবাহের হ্রদ বিস্ফোরণ
একটি হিমালয় হিমবাহী হ্রদের পাড় ২০২৩ সালের অক্টোবরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিম-এ ভারী বৃষ্টিপাতের পর ফেটে বা ভেঙে যায়। যার জেরে ৫০ বছরেরও বা অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সূত্রপাত হয়। তাতে ১৭৯ জন মারা যান। বহু বাড়িঘর এবং সেতু ভেসে যায়।
ভূমিধস বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোকে ধ্বংস করেছে
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হিমালয় রাজ্যের উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে একটি ভূমিধসে ২০০ জনেরও বেশি লোক মারা যান। যাতে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভেসে যায়।
মুম্বইয়ের কাছে ভূমিধস
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ভূমিধসে মুম্বইয়ের কাছে একটি গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ে। তাতে কমপক্ষে ২৭ জন মারা যান। বহু বাসিন্দা আটকে পড়েন।
আরও পড়ুন- প্যারিস অলিম্পিকে সংকট! সেইন নদীর জন্য প্রতিযোগিতা শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি
কেরলে বন্যা
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরল ২০১৮ সালে এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাক্ষী হয়েছিল। তাতে কমপক্ষে ৩৭৩ জনের মৃত্যু হয়। ১.২ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শিবিরে আশ্রয় নেন। সেবার কেরলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮০% বেশি বৃষ্টি হয়েছিল।
(অন্নি আরিফের রিপোর্টিং; শিবম প্যাটেল এবং বার্নাডেট বাউম দ্বারা সম্পাদিত ইংরেজি থেকে অনুবাদ)