বুধবার বিদেশমন্ত্রক ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলটের নিখোঁজ হওয়ার কথা সুনিশ্চিত করেছে। অভিনন্দন বর্তমান নামের এই পাইলট মনে করিয়ে দিচ্ছেন কারগিল যুদ্ধের সময়ের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কে নচিকেতার কথা। ১৯৯৯ সালের ২৭ মে মিগ ২৭ বিমানে আগুন লেগে যাওয়ার পর তিনি বাটালিক সেক্টরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পাক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, ৮ দিন বাদে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন আসলে কে?
পাকিস্তান নর্থ ইনফ্যান্ট্রির হাতে ধরা পড়ার পর তাঁর ওপর ব্যাপক মারধর চালানো হয়। পাক সেনা এক উচ্চপদস্থ অফিসার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং অত্যাচার বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ভারতের তরফ থেকে বহু রকমের প্রচেষ্টার পর নচিকেতাকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেড ক্রস নচিকেতাকে ভারতে নিয়ে আসে। ফেরার পর তাঁকে নায়কোচিত অভিবাদন জানান রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণন এবং প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী।
একই কার্গিল যুদ্ধে ২৭ মে শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়ার পর নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার অজয় আহুজা। মাটি-থেকে-আকাশ এক মিসাইলের আঘাত লেগেছিল তাঁর বিমানে। ওই সময়ে ওই এলাকায় আরেক পাইলটের খোঁজ চালাচ্ছিলেন আহুজা। ওই এলাকায় মিসাইল রয়েছে বলে তাঁকে সাবধান করা হয়েছিল আগেই। তা সত্ত্বেও তিনি খোঁজ থামাননি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আহুজা তাঁর নির্ভীকতার মূল্য চুকিয়েছিলেন। আঘাত লাগার পর তাঁর বিমান চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি নিজে বিমান থেকে নিরাপদে লাফিয়ে পড়তে সক্ষম হলেও শত্রুপক্ষের হাতে নিহত হন তিনি।
নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানে জৈশ এ মহম্মদের শিবিরে বিমান হানা করার পর থেকেই। ভারতে জৈশ হামলা চালাতে পারে এ ধরনের নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই হামলা চালানো হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান জঙ্গি হানায় মারা যান। সে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জৈশ এ মহম্মদ।
Read the Full Story in English