Arvind Kejriwal bail: দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় ইডি এবং পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ছয় মাস পরে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শুক্রবার জেল থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছেন। জামিনের শর্ত কিন্তু, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়নি। শর্তে বলা হয়েছে যে তিনি সচিবালয় বা সিএম অফিসে যেতে পারবেন না। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের স্বাক্ষরের জন্য প্রয়োজনীয়, এমন ফাইল ছাড়া অন্য কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না।
যেভাবে মিলল জামিন
বিচারপতি সূর্যকান্ত তাঁর রায়ে, 'এই আদালতের সমন্বয়কারী বেঞ্চ দ্বারা আরোপিত শর্তাদি উদ্ধৃত করেছেন।' তিনি জানিয়েছেন, 'বর্তমান মামলায় মিউটাটিস মিউট্যান্ডিস আরোপ করা হয়েছে।' মিউটাটিস মিউট্যান্ডিস মানে হল এমন নিয়ম বা বিবৃতি, যা কিছু পরিবর্তনের পরে একটি নতুন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য। বিচারপতি এই পরিস্থিতি বলতে ১০মে এবং ১২ জুলাই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের আদেশের উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষেত্রে আবগারি নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত একটি অর্থ পাচারের অভিযোগে ইডি (ED)-র গ্রেফতারের বিরুদ্ধে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে।
#Arvind_Kejriwal#Resignation
— Aastha🕊 (@aas_sthaa) September 15, 2024
इस्तीफा ट्रेंड को बखूबी समझते और उपयोग करना कोई इनसे सीखे!✌🏼 pic.twitter.com/1NeNrlNTQa
বিচারপতির মতভেদ
বিচারপতি উজ্জল ভুঁইয়া তাঁর রায়ে বলেছেন যে জামিনের শর্তগুলো নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। ইডি মামলায় অন্য বেঞ্চ এই শর্তেই কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে, যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের অফিসে ঢুকতে পারবেন না। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সইয়ের দরকার, এমন ফাইলগুলো ছাড়া সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না। তবে এই সব শর্তে আপত্তি থাকলেও বিচারপতি ভুঁইয়া বলেছেন, 'আমি এই পর্যায়ে আমার মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকব। কারণ, দুই বিচারপতির বেঞ্চ পৃথক ইডি মামলায় এই শর্তগুলো আরোপ করেছে।'
আরও পড়ুন- সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত! টাইফুন ইয়াগির নাম শুনেই ভীত প্রশাসন
আপ যা বলছে
রায়ের ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ এক প্রবীণ আপ (AAP) নেতা বলেছেন, 'এই রায়ের জেরে মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারবেন না কি না, সেই ব্যাপারে আমরা আইনি মতামত চাইছি। তাঁকে সচিবালয়ে যেতে না দেওয়াটা আসলে কোনও সমস্যা নয়। কারণ, অতীতেও তাঁর বাসায় একাধিক বৈঠক হয়েছে। যাই হোক না কেন, সার্কুলেশনের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিকল্প সবসময় থাকে।'