Typhoon Yagi: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৃত্যুদূত হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইফুন ইয়াগি। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে হওয়া প্রবল বৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধসের প্রকোপে এখন নাজেহাল। এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় এই বছর দেখা গিয়েছে। হারিকেন আছড়ে পড়ার পর চলতি বছরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝড় ইয়াগি। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে। নিখোঁজ অসংখ্য। গবাদি পশু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা না হয় ছেড়েই দেওয়া যাক!
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় কীভাবে তৈরি হয়?
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, বিষুবরেখার কাছে উষ্ণ সমুদ্রের জলের ওপর তৈরি হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উষ্ণ, আর্দ্র বায়ু যখন ঊর্ধ্বমুখী হয়, তখন একটি বায়ুচাপে ফাঁকা অঞ্চল তৈরি হয়। উচ্চ বায়ুচাপের আশেপাশের বায়ু এই ফাঁকা অঞ্চলের দিকে ছুটে যায়। পরে, সেই বায়ুও উষ্ণ এবং আর্দ্র হয়। আর ঊর্ধ্বমুখী বায়ু ক্রমশ শীতল হয়। কিন্তু, তার আগে বায়ুর শূন্যস্থান পূরণ করতে আশপাশের বায়ুর ছুটে আসার মাধ্যমে ঝড় তৈরি হয়।
টাইফুন কী?
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, 'গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়কে ক্রান্তীয় নিম্নচাপ বলে। যদি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৩৯ মাইল হয়, তবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়। আর, তার গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ১১৯ কিলোমিটার হয়, তবে এই ঝড়কে হারিকেন, টাইফুন বলে।'
আরও পড়ুন- দক্ষ কর্মীর অভাব? অবসরের বয়স বাড়াচ্ছে চিন
কীভাবে টাইফুন ইয়াগি এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হয়ে উঠল?
টাইফুন ইয়াগি ১ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় হিসেবে শুরু হয়েছিল। এটি পরের দিন ফিলিপাইনে ল্যান্ডফল করেছিল এবং দুর্বল হতে শুরু করেছিল। তবে দক্ষিণ চিন সাগরে অস্বাভাবিক উষ্ণ জলের কারণে ঝড়ের তীব্রতা আবারও বাড়ে। ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, এটি একটি ক্যাটাগরি ৩ টাইপের শক্তিশালী টাইফুনে পরিণত হয়েছিল। পরের দিন, এটি আবার ক্যাটাগরি ৫ ধরনের আরও শক্তিশালী টাইফুনে পরিণত হয়। যার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার।