Arvind Kejriwal: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাতে আপ (AAP) নেতা অতীশির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়েছে। কেজরিওয়াল রবিবারই আম আদমি পার্টি (এএপি) কর্মীদের বলেছিলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। আর, আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁর নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ হিসেবে 'অগ্নিপরীক্ষা' দেবেন। গত সপ্তাহে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে শর্তাধীনে জামিন দিয়েছে।
সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে, নির্বাচনের তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ECI) হাতে ন্যস্ত করা আছে। কমিশন বর্তমান বিধানসভার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগে নিশ্চিত করবে যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-এর ধারা ১৫(২) অনুযায়ী, বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাসের আগে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে না। যদি না বিধানসভা তার মেয়াদ শেষ করার আগে ভেঙে দেওয়া হয়।
সংবিধানের ১৭৪ (২) (বি) অনুচ্ছেদ বলছে, রাজ্যপাল 'সময় অনুযায়ী' বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। মন্ত্রিপরিষদ একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রাজ্যপালের কাছে হাউস ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারে। একবার বিধানসভা ভেঙে গেলে, কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন করাতে হবে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর নেতৃত্বাধীন তেলেঙ্গানা মন্ত্রিসভা বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেই বিধানসভার মেয়াদ ২০১৯-এর জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। রাজ্যপাল সুপারিশটি গ্রহণ করেছিলেন এবং ২০১৮ সালেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন- ব্যাপক বৃষ্টিতে দেশের জলাধারগুলো ভর্তি, বন্যার আশঙ্কা আছে?
কিন্তু দিল্লি একটি 'পূর্ণ' রাজ্য নয়। দিল্লিতে, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি অ্যাক্ট, ১৯৯১ প্রযোজ্য। যদিও আইনের ধারা ৬ (২) (বি) বলে যে লেফটেন্যান্ট গভর্নর সময়ে সময়ে বিধানসভা ভেঙে দিতে পারেন। এমনকী, যদি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তবে, সেটা লেফটেন্যান্ট গভর্নর (এলজি)-এর মাধ্যমে কার্যকর করবে।