পাকিস্তান, নেপাল, চিন, বাংলাদেশ এই সীমান্ত নিয়ে কম ঝক্কি পোহাতে হয় না ভারতকে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন ভারতের জন্য সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেনা না হয় নিয়োগ হল কিন্তু অস্ত্রশস্ত্র? দেশ তখনও প্রতিরক্ষা সামগ্রী বানাতে পটু ছিল না। অগত্যা ভরসা আমদানিতেই। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর থেকে টানা দু’দশক ধরে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আসত আমদানি পণ্য হিসেবে।
তবে সমস্যা কোথায় তৈরি হল?
আসল বিষয়টি হল সরকার চাইছে বাইরের দেশের উপর নিজেদের নির্ভরযোগ্যতা কমাতে। পাশাপাশি অস্ত্র আমদানিতে বিপুল অর্থ ব্যয়ও হচ্ছে। একাংশের মত দেশে এবার থেকে অস্ত্র কারখানা তৈরি করলে ভারতের অর্থনৈতিউক কাঠামো যেমন উন্নতি করবে তেমন অতিরিক্ত ব্যয়েও লাগাম পড়ানো যাবে। ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০২০-র অগস্ট পর্যন্ত ২৬০টি প্রকল্পের মাধ্যমে কমবেশি সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে ভারতে। তৃতীয় বিশ্বের দেশে এই খরচ নেহাত কম নয়।
সেনাবাহিনীর সম্মতি ছিল?
হ্যাঁ। এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্র একা নেয়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই এই বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রক। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের আওতায় ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স নামক একটি দফতর খোলা হয়। যারা প্রতিরক্ষার বিষয়টিও দেখভাল করে। তাঁদের পক্ষ থেকেই এই তালিকা তুলে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের হাতে।
আরও পড়ুন, ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি হবে ভারতেই, কীভাবে?
‘প্রতিশ্রুতির জট’ তাহলে কোথায় থেকে যাচ্ছে?
‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। ভারত যদি উচ্চমানের অস্ত্র প্রস্তুত করতে সক্ষম হয় তাহলে সেই সব সরঞ্জাম বিদেশে রফতানি করে ভালো লাভের মুখও দেখতে পারবে। ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ধাপে ধাপে দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে চার লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি বাস্তবায়িত হবে এমনটাও জানিয়েছেন রাজনাথ সিং। কিন্তু ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকাই এখনও ক্লিয়ারেন্সের লাইনে রয়েছে। এমনকী যে ১০১টি সরঞ্জামগুলিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কেন্দ্র এর মধ্যে ৭.৬২x ৩৯ মিলিমিটারের অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি হল আমেঠির অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সেখানে কাজ হত। কিন্তু দামের গেরো নিয়ে সে কাজ আপাতত বন্ধের মুখে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও চিন্তার জায়গা থাকছেই। যেমন এক, এই সব গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম তৈরির জন্য কটা অর্ডার আসছে এবং চাহিদা কত সেটি প্রধান। এছাড়াও দামের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরির পরও যদি দাম আমদানিকৃত সরঞ্জামের থেকে বেশি হয় তাহলে এই সিদ্ধান্তের কোনও প্রয়োজনীতাই থাকবে না।
পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি চিন সীমান্তে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সেনা শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। একাধিক সমস্যা রয়েছে যেখানে, সেখানে এত বড় সিদ্ধান্ত কি আদৌ অনুকূল হবে ভারতের জন্যে? প্রশ্ন থাকছেই।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the Explained News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title:
গুরুদক্ষিণা ২ টাকা, আপাতত কলেজ ঘিরেই যত আক্ষেপ পদ্মশ্রী শিক্ষকের
ধোনির 'সতীর্থ' বঙ্গ পেসারে নজর কেকেআরের! নিলামের লড়াইয়ে আরসিবি, কিংসরাও
'হিংসা সমাধান নয়', দিল্লিতে কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী
প্রধানমন্ত্রীর পায়ের তলায় বাংলার মনীষীরা, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
'দু-মুখো নই'! কুকুরদের ছবি পোস্ট করে 'ধর্মীয় মেরুকরণের' রাজনীতিকে কটাক্ষ মীরের
উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিলীপের, পরে ভুল শুধরে বিড়ম্বনা প্রকাশ
দেবলীনার মা কি দুর্গাপুজোয় 'গো-মাংস' রান্নার কথা ভাবেন? বিস্ফোরক রুদ্রনীল ঘোষ
সিরাজ-শার্দুল বাদ, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে খোলনলচে দল নামাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
দিল্লির রাজপথে বাংলার 'সবুজসাথী', উত্তরপ্রদেশের রামমন্দিরের ট্যাবলো