বেঙ্গালুরু ইদগাহ ময়দানে মঙ্গলবার গণেশ উৎসব আয়োজনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কর্ণাটক সরকারকে এই বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চ দিনের শুরুতে রায় দিতে গিয়ে একমত হতে পারেনি। মামলাটি তিন সদস্যের বেঞ্চে পাঠায়। একইসঙ্গে, চাইলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেও মামলাকারী আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়ে দেয়। সেইমতো, প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত একটি নতুন তিন বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করেন। যা এই মামলার শুনানি করেছে।
মামলাটা কী নিয়ে?
এই মামলা এক জমি নিয়ে। যার পরিমাণ ২ একরের একটু বেশি। বেঙ্গালুরুর চামরাজপেট ইদগাহের কাছে ওই জমি। কর্ণাটক সরকার ওই জমি ব্যবহার করতে চাইছে। গত জুনে, সহকারি রাজস্ব আধিকারিক নোটিস দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ওই জমি সরকারকে ব্যবহার করতে ওয়াকফ বোর্ড কেন বারণ করছে? কারণ, ইদগাহ কর্তৃপক্ষ যেটি নিজেদের বলে দাবি করছে, তা আসলে একটি খেলার মাঠ ছিল। আর, তার মালিক বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা কর্তৃপক্ষ।
ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা
তবে, ওয়াকফ বোর্ড জমির অধিকার ছাড়তে রাজি ছিল না। তাই এরপর কর্ণাটক হাইকোর্টে দরবার করে। ২৫ আগস্ট, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায় ওই জমিতে সরকার স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে পারবে। খেলার মাঠ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবে। একইসঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের রমজান এবং বকরি ইদের নমাজের জন্যও ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন- চিকিৎসা গবেষণায় বিরাট সাফল্য! ভাইরাসের মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ালে রোখা যায় ক্যানসার
আইনি টানাপোড়েন
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় কর্ণাটক সরকার। দুই বিচারপতির বেঞ্চ, তার প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট থেকে ওই মাঠে নমাজ এবং রমজানের অনুষ্ঠান করার নির্দেশটি সংশোধন করে। হাইকোর্ট বলে, 'ভারতীয় সমাজে ধর্মীয়, ভাষাগত, আঞ্চলিক বা বিভাগীয় বৈচিত্র্য রয়েছে। সংবিধান সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে। ধর্মীয় সহনশীলতার নীতি ভারতীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য।'
একথা বলার পাশাপাশি, কর্ণাটক হাইকোর্ট ওই জমি ব্যবহার নিয়ে কর্ণাটক সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর ৩১ আগস্ট গণেশ চতুর্থীর উৎসবের জন্য কর্ণাটক সরকার ইদগাহ সংলগ্ন ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এরপরই সরকারের অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় ইদগাহ কমিটি।
Read full story in English