Bill passes to raise women’s marriage age: মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ল। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির গতি কমাতেই বাড়ানো হল মহিলাদের বিয়ের বয়স। দীর্ঘদিন ধরে এই বয়স বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিল বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শেই এবার সরকারিভাবে মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানো হল। ফলে, আগের নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে মহিলাদের ১৮ বছর বয়সে বিয়ে দিতে গেলে আইনি সাজার মুখে পড়তে হবে।
তবে এই আইন আপাতত গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। যেখানে বিলটি পাশ হয়েছে, সেই হিমাচলপ্রদেশেও চালু হয়নি। মঙ্গলবার (২৭ অগাস্ট) সেখানকার বিধানসভা এই বিলটি পাশ করেছে মাত্র। বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা (হিমাচল প্রদেশ সংশোধনী) বিল, ২০২৪ নামে এই বিল হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়েছে। বিলটি বাল্য বিবাহ নিষেধাজ্ঞা (পিসিএম) আইন সংশোধন করেছে। ২০০৬ সালে বাল্য বিবাহ নিষেধাজ্ঞা (পিসিএম) আইন সংসদে পাস হয়েছিল। সেটাই সংশোধন করেছে হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভার এই বিল।
হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী কী জানিয়েছেন?
মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলটি উপস্থাপন করার সময়, স্বাস্থ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রী ধনিরাম শান্ডিল জানিয়েছেন, যে মহিলাদেরকে অগ্রগতির সুযোগ দেওয়ার জন্যই বিবাহের ন্যূনতম বয়স বাড়ানো দরকার ছিল। তিনি বলেছেন, 'কিছু মেয়ে এখনও অল্প বয়সে বিয়ে করে। যা তাঁদের শিক্ষা এবং জীবনের অগ্রগতির চেষ্টাকে বাধা দেয়। উপরন্তু, অনেক মহিলা বাল্যবিবাহের কারণে তাঁদের কেরিয়ারে সাফল্যও অর্জন করতে পারে না। বাল্যবিবাহ এবং মাতৃত্ব প্রায়শই মহিলাদের স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিলের সঙ্গে প্রদত্ত 'স্টেটমেন্ট অব অবজেক্টস অ্যান্ড রিজনস' অনুসারে, বাল্যবিবাহ শুধুমাত্র তাঁদের (মহিলাদের) কর্মজীবনের অগ্রগতিতে নয়, তাঁদের শারীরিক বিকাশেও বাধা হিসেবে কাজ করে।'
আরও পড়ুন- খামখেয়ালি আবহাওয়া কখন যে কী করবে! সঠিকটা জানতে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ চোখ রাখছেন এখানেই?
এবার কী হবে?
সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, একটি বিধানসভায় গৃহীত বিল সম্মতির জন্য সেই রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ্যপাল তারপর ঘোষণা করতে পারেন যে তিনি বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন। যার ফলে, সেটা একটি আইনে পরিণত হবে। অথবা, বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য ফিরিয়ে দিতে পারেন। অথবা, বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। রাষ্ট্রপতি তখন জানাবেন, তিনি বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন নাকি সম্মতি স্থগিত রেখেছেন। আবার, রাষ্ট্রপতি বিলটি রাজ্যপালের কাছে তা পুনর্বিবেচনার জন্যও ফেরত পাঠাতে পারেন। যাই হোক, বিলটি আইনে পরিণত হলে হিমাচল প্রদেশে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের বয়সই ২১ বছর হলে তবেই তাঁরা আইনত বিয়ে করতে পারবেন।