বিজেপির সদ্যপ্রকাশিত ইস্তাহার বা সংকল্পপত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়েছে জাতীয়তাবাদ। একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীকে ২১ শতকের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সক্ষম নেতা হিসেবেও প্রোজেক্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজনাথ সিং ইস্তেহার কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতেক উল্লেখযোগ্য যে সমস্ত ঘটনাসমূহের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, তার ৭৫টির তালিকা তৈরি করেছেন। মোদী বলেছেন, ২০১৯ থেকে ২৪ স্বাধীনতার শতবর্ষের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময়।
এদিনের কর্মসূচিতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, "এ ইস্তেহার টুকড়ে টুকড়ে মনোভাব নিয়ে তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে কঠোর জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।"
আরও পড়ুন, Loksabha Election 2019: বিজেপির ইস্তেহারে কী প্রতিশ্রুতি দিলেন মোদী-শাহরা?
দলীয় প্রধান অমিত শাহ বলেছেন, "অর্থনীতিকে তার পথে ফিরিয়ে আনার সময়ে প্রধান মন্ত্রী সারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন কেমন করে একটি দুর্নীতিহীন প্রশাসন চালাতে হয়।" তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্ত্রাসবাদের উৎসে আঘাত হেনেছেন এবং সারা পৃথিবীর কাছে বার্তা দিয়েছেন যে দেশের সীমান্তে কোনওরকম খেলাধুলো সহ্য করা হবে না। "
সোমবার সমস্ত বক্তারাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এনডিএ সরকারের সাফল্যের উপর জোর দিয়েছেন। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "২০৩০ সালের মধ্য়ে দেশকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হবে। বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি হবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৩২ সালের মধ্যে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ২০৩২ ট্রিলিয়ন ডলারে। "
কৃষিক্ষেত্রে ক্ষোভের কথা মাথায় রেখে ৪৫ পৃষ্ঠার 'সংকল্পিত ভারত সশক্ত ভারত' শীর্ষক নথিতে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। এই ইস্তাহারে ছোট দোকানিদের জন্য প্রকল্প, ২০২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য বাড়ি তৈরির কথাও বলা হয়েছে।
বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে সাবধানে পা ফেলেছে বিজেপি। রাম মন্দির নিয়ে ইস্তেহারে বলা হয়েছে, "রাম মন্দির নিয়ে আমাদের পুরনো অবস্থান আমরা আরও একবার বলতে চাই। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে সমস্ত সম্ভাবনাগুলি খতিয়ে দেখতে চাই। এ ব্যাপারে সমস্ত রকম প্রচেষ্টা করতে চাই। "
শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে সংকল্প পত্রে বলা হয়েছে, "বিশ্বাস এবং আস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত এ ইস্যুতে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ইস্তাহারে একই সঙ্গে বিজেপি-র প্রতিশ্রুত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।"
কাশ্মীর নিয়েও পুরনো অবস্থানে অনড় রয়েছে বিজেপি। বলা হয়েছে, "আমরা সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ তুলে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
Read the Full Story in English