One nation one election: বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে। ওই প্রস্তাব দিয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের কমিটি। প্রস্তাবে লোকসভা, বিধানসভা এবং স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর নির্বাচন একযোগে করার কথা বলা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ কোবিন্দ-কমিটি তাদের এই প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে তুলে দিয়েছিল। সর্বস্তরে একযোগে নির্বাচন করতে একাধিক সাংবিধানিক সংশোধনীর সুপারিশও করেছে কমিটি।
এর পর কী হবে?
দ্য ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ সংসদে পেশ হওয়া দুটি সংবিধান সংশোধনী বিলের ওপর নির্ভর করবে। যার জন্য সরকারের বিভিন্ন দলের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার দরকার হবে। লোকসভায় বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই এই বিল পাশের জন্য বিজেপিকে এনডিএ শরিকদের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঐকমত্য গড়ে তোলার একটি উপায় হল সংবিধান সংশোধনী বিলগুলোকে একটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো। সেটা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও হতে পারে। আবার, যৌথ সংসদীয় কমিটিও হতে পারে। এইসব কমিটিতে বিরোধী দলের সদস্যরাও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা থেকে ঐকমত্য বেরিয়ে আসতে পারে।
আরও পড়ুন- ধ্বংসের মুখে পৃথিবী? বুকে আছড়ে পড়তে পারে 'মিনি-মুন'
কেন্দ্রকেও রাজ্যগুলোর মতামতও নিতে হবে। স্থানীয় সংস্থাগুলোতেও একযোগে নির্বাচন নিশ্চিত করতে মোট রাজ্যের অন্তত অর্ধেককে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী অনুমোদন করতে হবে। বিজেপি আপাতত এক ডজনেরও বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। কিন্তু, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এই হিসেবকে বদলেও দিতে পারে।
সংবিধানে কী কী পরিবর্তন দরকার?
একযোগে নির্বাচন করার জন্য প্রথম সংবিধান সংশোধনী দরকার। সংবিধান সংশোধন করতে গেলে, বিলের পক্ষে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়েই 'বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা' প্রয়োজন। এ জন্য সংবিধানের ৩৬৮ অনুচ্ছেদের দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়ের মোট সদস্য সংখ্যার অর্ধেককে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, উপস্থিত এবং ভোটদানকারী সদস্যদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশকে অবশ্যই সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিতে হবে।