Mini-moon: একটি নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, 'মিনি-মুন' পেতে চলেছে পৃথিবী। সেপ্টেম্বরে অস্থায়ীভাবে পৃথিবী এই 'মিনি-মুন' পাবে। এমাসের শেষের দিকে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ পিটি৫ (PT5) নামে একটি ছোট গ্রহাণুকে কাছে টেনে আনবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর আকর্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে ওই গ্রহাণু দুই মাস পৃথিবীর চারপাশে থাকবে। তবে, 'মিনি-মুন' নিয়ে বেশি লাফালাফির কিছু নেই। কারণ, ব্যাপারটা নতুন কিছু না। অতীতে, অনেকসময়ই দেখা গিয়ে, এইজাতীয় 'মিনি-মুন' হয় পৃথিবীর আকর্ষণ ছেড়ে বেরিয়ে যায়। নতুবা, পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার আগে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জ্বলে যায়।
'মিনি-মুন' কী?
'মিনি-মুন' হল গ্রহাণু। এই গ্রহাণু মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। মাধ্যাকর্ষণ এড়াতে না পেরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। তবে, সেটা সাময়িক। গ্রহাণুগুলো আকারে সাধারণত খুব ছোট হয়। এতটাই ছোট হয় যে অনেক সময় তাদের চিহ্নিতও করা যায় না। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর মাত্র চারটি 'মিনি-মুন' পাওয়া গিয়েছে। আপাতত অবশ্য তাদের কেউ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে না। সেই তালিকাতেই পড়ছে পিটি৫ (PT5)-এর নাম। রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে, 'দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটি'। তারা রিপোর্টে বলেছে, 'অনেকসময়ই মহাকাশে পাঠানো উপগ্রহ বা রকেটের ধ্বংসাবশেষকেও মিনি মুন ভেবে ভুল হয়ে যায়। যেমন গায়া মহাকাশযানকেই তো একবার মিনি মুন ভেবে ভুল হয়েছিল। চ্যাং-ই ২ কে দেখেও যেমন একই ভুল হয়েছিল। আবার লুনার প্রসপেক্টর মিশনের রকেট দেখেও বিজ্ঞানীরা মিনি মুন ভেবেছিলেন। পরে, অবশ্য ভুল ভাঙে।'
আরও পড়ুন- লেবাননে পেজার হামলার পিছনে কে? ফাঁস গোপন তথ্য
পিটি৫ (PT5) কী?
এই গ্রহাণুকে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)-র পরিপোষিত টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (ATLAS) আবিষ্কার করেছে। গ্রহাণুটা ৩৩ ফুট লম্বা বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। খালি চোখে বা সাধারণ টেলিস্কোপে ধরাও পড়ে না। পেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশ্য টেলিস্কোপে এই গ্রহাণুকে খুঁজে পেয়েছেন। মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেছেন, 'পিটি৫ (PT5) গ্রহাণু, অর্জুন গ্রহাণু বেল্টের অংশ। মহাকাশ শিলা দিয়ে ওই গ্রহাণু তৈরি। সূর্য থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে আছে এই গ্রহাণু।'