শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্ত পরীক্ষা করতে সম্মত হয়েছে। হাইকোর্টে রায় দিয়েছে যে একজন মুসলিম মেয়ে বয়ঃসন্ধির পর তার পছন্দের কাউকে বিয়ে করতে পারে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ জানিয়েছে যে হাইকোর্টের এই নির্দেশ অন্য কোনও ক্ষেত্রে নজির হিসেবে তুলে ধরা যাবে না।
আগে কী হয়েছে?
গত বছরের অক্টোবরে, সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ মামলার একটি আপিলের শুনানি করতে সম্মত হয়েছিল এবং এই মামলায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাজশেখর রাওকে অ্যামিকাস ক্যুরি বা আদালত বন্ধু হিসেবে নিয়োগ করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যক্তিগত আইনের ওপর এর প্রভাবের বিষয়টিকেও তুলে ধরেছে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায় কী?
গত বছরের অক্টোবরে, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট একটি হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের শুনানির সময় রায় দেয় যে একজন মুসলিম মেয়ে বয়ঃসন্ধি প্রাপ্তির পরে তার পছন্দের একজনকে বিয়ে করতে পারে। যদি সেই ব্যক্তির বয়স ১৮ বছরের কম না-হয়। ২৬ বছর বয়সি একজন মুসলিম ব্যক্তি যিনি এক সাড়ে ১৬ মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীর হেফাজত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। নাবালিকা হওয়ার পর থেকেই পাঞ্জাব পুলিশ ওই কিশোরীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। বিচারপতি বিকাশ ভেল মেয়েটির বিবৃতি পরীক্ষা করে রায়ে উল্লেখ করেছেন যে 'তিনি বর্তমান আবেদনকারীর সঙ্গে নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তিনি আবেদনকারীকে পছন্দ করেন এবং তাঁকে বিয়ে করতে চান।'
আরও পড়ুন- রাজকীয় ‘গঙ্গা বিলাসে’ চোখধাঁধানো পরিষেবা,পাঁচতারা প্রমোদতরীতে কী কী সুবিধা পাবেন পর্যটকরা?
মেয়েটি কী জানিয়েছিল?
মৌখিকভাবে মেয়েটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে তাঁর বিবৃতিতে পঞ্চকুলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছিল যে সে "বর্তমান আবেদনকারীর সঙ্গে তাঁর নিজের ইচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে বলেছে যে তার পরিবারের সদস্যরা জোর করে তাঁকে মামার সঙ্গে সম্বন্ধ করছিল। তার প্রেক্ষিতে তিনি বর্তমান আবেদনকারীর সঙ্গে ২৭.০৭.২০২২ তারিখে মণিমাজরার একটি মসজিদে নিকাহ করেছেন। তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতে চান না। যে আবেদনকারীকে বিয়ে করেছেন, তাঁর সঙ্গেই বসবাস করতে চান।'
Read full story in English