Centre and DHIS: কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল হেলথ ইনসেনটিভ স্কিম (DHIS)-কে একবছর বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পে রোগীদের স্বাস্থ্যের নথি ডিজিটাইজ করা হয়। তা আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ অ্যাকাউন্ট (ABHA ID)-এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়। প্রকল্পটি ১ জানুয়ারী, ২০২৩-এ চালু হয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছ থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে বিশদ তথ্য চেয়েছে।
ডিজিটাল কোম্পানি
এই প্রকল্পে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক ল্যাব এবং ফার্মেসিগুলোকে প্রতিমাসে ১০০টি পরিষেবার ওপরে ডিজিটালাইজ করা প্রতিটি অতিরিক্ত রেকর্ডের জন্য ২০ টাকা করে দেওয়া হয়। এই প্রকল্প সরকারি এবং বেসরকারি উভয় হাসপাতাল এবং ডিজিটাল সলিউশন কোম্পানি (DSC)-র ডিজিটাল স্বাস্থ্য নথি তৈরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই প্রকল্পে, ডিজিটাল সমাধান কোম্পানিগুলো ৪ কোটি টাকা পর্যন্ত ইনসেনটিভ আয় করতে পারে।
পরিষেবায় সাহায্য
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (NHA) ১ জানুয়ারী, ২০২৩-এ ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের উৎসাহ দিতে প্রকল্পটি চালু করেছে। পরবর্তীকালে, এনএইচএ (NHA) এপ্রিল ২০২৩-এ বর্তমান প্রকল্পে পরিষেবার সংখ্যা হ্রাস করার মত কিছু ব্যবস্থা চালু করেছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম (HMIS) এবং ল্যাবরেটরি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (LMIS)-এর মতো ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে উত্সাহিত করার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করেছে। যাতে, স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া আরও সহজ হয়ে উঠেছে।
হাসপাতালগুলিতে এর কী প্রভাব পড়বে?
এই প্রকল্প তাদের পরিষেবা ডিজিটাইজ করার মাধ্যমে হাসপাতালগুলোকে ব্যয় কমাতে সাহায্য করবে। অভিযোগ উঠেছিল, এই ব্যয়ের জন্যই হাসপাতালগুলো ডিজিটাল স্বাস্থ্যের পথে হাঁটতে বাধা পাচ্ছে। হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোকে ডিজিটাল পরিষেবা দিতে কমপিউটার এবং ল্যাপটপ ইনস্টল করতে হবে। একটি ইন্টারনেট সংযোগ কিনতে হবে এবং সফটওয়্যার (HMIS/LMIS) কিনতে হবে। এর মাধ্যমেই স্বাস্থ্য পরিষেবা ফিজিকাল মোড থেকে ডিজিটালের পথে যাবে। এই প্রকল্পটি অনেকটা ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের মতই ব্যাপার।
আরও পড়ুন- এবারের লোকসভায় কে হতে চলেছেন প্রোটেম স্পিকার, কীভাবে তাঁকে বাছা হবে?
কত পরিষেবা সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত?
ডিএইচআইএস-এর তত্ত্বাবধানে থাকা একজন ঊর্ধ্বতন জাতীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, সরকারি নথি অনুযায়ী ১,০৮৫টি বেসরকারি এবং ৪১টি ডিএসসি-সহ ৪,০০৫টি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা, যার মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার জন্য ২৪.৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সরকারি ডিএসসিগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (এনআইসি) এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং (সি-ড্যাক) এর মত কোম্পানিগুলো। এই সব কোম্পানিই সরকারি হাসপাতালে ই-হাসপাতাল এবং ই-সুশ্রুত পরিষেবা দিয়ে থাকে।