Advertisment

Armed Forces: ঔপনিবেশিক প্রভাব দূরীকরণ! বিরাট পরিবর্তন সশস্ত্রবাহিনীর

Armed Forces: সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের জন্য আইন থেকে শুরু করে নানা কোর্স চালু করা হচ্ছে। যা ঔপনিবেশিক প্রভাব দূরীকরণের কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Armed Forces, Vijay Chowk, সশস্ত্র সেনা, বিজয় চক,

Armed Forces-Vijay Chowk: জুন মাসে নয়াদিল্লির বিজয় চকে বিটিং রিট্রিট রিহার্সাল। গত কয়েক বছরে প্রজাতন্ত্র দিবস এবং বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানে ভারতীয় সুর ও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। (এক্সপ্রেস ছবি: অমিত মেহরা)

Armed Forces: ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে ঔপনিবেশিক নিদর্শন এবং ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য দূর করতে, সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন পরিবর্তনের কথা ভাবছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমী বিশেষজ্ঞদের বদলে, ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি। সেনাবাহিনীতে স্কটিশ-অরিজিন পাইপ ব্যান্ডের সংখ্যা হ্রাস। সেনাবাহিনীর কিছু বিষয়কে আরও প্যান-ইন্ডিয়া চরিত্র দেওয়া। তিনটি পৃথক পরিষেবা আইনের পরিবর্তে একটি ত্রি-পরিষেবা আইনের খসড়া তৈরির কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। 

Advertisment

তরুণ সামরিক কর্মীদের মনে দেশীয় কৌশলগত চিন্তাভাবনা জাগ্রত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, প্রাচীন ভারতীয় কৌশলবিদদের লেখা পাঠ্যগুলো পড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এতদিন পশ্চিমী সামরিক চিন্তাবিদ এবং লেখকদের দ্বারা রচিত সাহিত্য পড়ানো হত সেনায়। পাশাপাশি কেরিয়ার কোর্সেও রদবদল করা হচ্ছে।

সেকেন্দ্ররাবাদ-ভিত্তিক কলেজ অফ ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিক স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি পাঠ্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে। তার ভিত্তিতে তিনটি পরিষেবার কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোর্স চালু হতে চলেছে। আইএনএ, মারাঠা এবং শিখদের মত ভারতীয় বাহিনীর স্থল অভিযান এই অধ্যয়নের বিষয় হতে পারে রাজা চোল প্রথম এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্র চোল, রাজা মার্থান্ড ভার্মা, কুঞ্জলি মারাক্করের মত শাসকদের সামুদ্রিক কৌশল এবং প্রাচীন ভারতীয় সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসন মডেল, ইত্যাদি পড়ানো হতে পারে।

সশস্ত্র বাহিনী ব্রিটিশ আমলের অপ্রচলিত আইন এবং নিয়মগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। সেগুলোকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী প্রতিটিকে পরিচালনা করার আলাদা পরিষেবা আইন আছে। তার বদলে একটি সমন্বিত ত্রি-পরিষেবা আইন আনার জন্য কাজ চলছে। যা অপ্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে এবং মসৃণ ক্রিয়াকলাপকে উন্নীত করবে।

আরও পড়ুন- নাসরুল্লাহর মৃত্যুতে বাজছে বিপদের ঘণ্টা, চরম চাপে ভারত

সেনাবাহিনী আলোচনা করছে যাতে স্কটিশ-অরিজিন পাইপ ব্যান্ডের সংখ্যা কমানো যায়। সেনাবাহিনীর পদাতিক রেজিমেন্টগুলোকে জাঠ রেজিমেন্ট, বিহার রেজিমেন্ট ইত্যাদির বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তে আর্টিলারি এবং আর্মার্ড ডিভিশনের মত আরও প্যান-ইন্ডিয়া চরিত্র দেওয়া যায় কি না, তা মূল্যায়ন করার জন্য একটি গবেষণা চালানোও হতে পারে। 

India army influence Forces
Advertisment