Vaccination children in India: ভারতে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শৈশবে টিকাদান সামান্য হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা হু (WHO) এবং ইউনিসেফ জাতীয় টিকাদান কভারেজ (WUENIC)-এর রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডিপথেরিয়া, পের্টুসিস এবং টিটেনাস (ডিপিটি/DPT) ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিমাণ কমেছে। ২০২২ সালে তা ছিল ৯৫%। সেটাই ২০২৩ সালে হয়েছে ৯৩%। এই হিসেবটা যে শিশুরা কোনও নিয়মিত টিকা পায়নি, তাদের ভিত্তিতে। তবে এই টিকাদান কমে যাওয়ার অর্থ, গেল গেল কোনও ব্যাপার নয়। ২০২০ সালে টিকাদানের সংখ্যাটা ছিল ৮৭%। ২০২২ সালে তা ছিল ৮৮%। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে বিশ্বে শিশুদের গড় টিকাদানের পরিমাণ ছিল ৮৯%। তার চেয়ে কিন্তু, ভারতে শিশুদেরকে দেওয়া টিকার পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। পরিসংখ্যান বলছে তারপরও, ২০১৯ সালের অর্থাৎ প্রাক-অতিমারি বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ লক্ষ অতিরিক্ত শিশুকে কোনও না কোনও কারণে টিকাদান করা হয়নি।
ডিপিটি ভ্যাকসিন কভারেজ
WUENIC জানিয়েছে যে ২০২৩ সালে ভারতে ১৬ লক্ষ শিশু ভ্যাকসিনের ডোজ পায়নি। সংখ্যাটা, ২০২২ সালের চেয়ে বেশি। ২০২২ সালে সংখ্যাটা ছিল ১১ লক্ষ। অবশ্য, এই সংখ্যাটা ২০২১ সালের তুলনায় কম। ২০২১ সালে এই ভ্যাকসিনের ডোজ না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ছিল ২৭ লক্ষ। অতিমারির আগে, ২০১৯ সালে অবশ্য এই একটাও ভ্যাকসিন না পাওয়া শিশুর সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম, ১৪ লক্ষ। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ডিপিটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজের কভারেজ- ভ্যাকসিন কম দেওয়া হলে যে টিকাটা দেওয়া হয়, তার সংখ্যা ২০২৩ সালে ৯১% এসে দাঁড়িয়েছে। যা আগের বছরের থেকে দুই শতাংশ কম। তবে, ভারতে এই টিকাদানের সংখ্যা অবশ্য বিশ্বব্যাপী টিকাদানের চেয়ে অনেকটাই বেশি হয়েছে। কারণ, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী গড় টিকাদানের পরিমাণ ছিল ৮৪%। অতিমারির প্রথম দুই বছর থেকেই টিকাদানের হার কমেছে বলে পরিসংখ্যান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘পিএম শ্রী’ প্রকল্প! চালু করতে রাজ্যগুলোকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র, কিন্তু কেন?
উদ্বেগের কারণ নয়
এই ব্যাপারে সরকারি টিকাকরণ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে টিকার সংখ্যা 'সামান্য' হ্রাস উদ্বেগের কোনও ব্যাপার নয়। বরং, এটা বোঝাচ্ছে যে টিকাকরণ কর্মসূচিতে জোর দিতে হবে। যদি ন্যূনতম চেষ্টাতেই ৭০% টিকাকরণ সম্ভব হয়, তবে রীতিমতো পরিকল্পনা করে চেষ্টা চালালে সেটা ৯০%-এর বেশি হতেই পারে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমাদের পরিযায়ী জনসংখ্যার কথা ভাবতে হবে। উৎসবের মরশুমে যখন তাঁরা বাড়িতে আসে, তখন কি তাদের টিকা দেওয়া যায়? মানুষকে বাড়িতে না পাওয়া গেলে কী করা যায়? গ্রীষ্মকালে কী করা দরকার? বন্যার সময় কী করা দরকার? কীভাবে প্রান্তিক অঞ্চলে টিকাকরণ করা যায়, সেসব ভাবতে হবে। নাইজেরিয়ার পরে ভারতেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। এ সম্পর্কে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু, এটা কেউ বলছেন না যে ভারতের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এখানে ১% শিশুকে টিকাদান করা হয়নি মানে, সেই সংখ্যাটাই প্রচুর।'