China-Labour Age: চিনে শ্রমিকদের অবসরের বয়স বাড়তে চলেছে। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস, চিন সরকারের অংশ। তারা চলতি সপ্তাহে চিনে শ্রমিকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে। জুলাই মাসে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছিল, 'দেশে শ্রমিকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রস্তাব কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় প্লেনামে গৃহীত ধারাবাহিক প্রস্তাবের একটি অংশ।'
০১) পেনশন বাজেট
বর্তমানে বিশ্বে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন অবসরের বয়স কার্যকর রয়েছে চিনে। এর ফলে চিনের ওপর পেনশন দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে। চিনের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ১১টি ইতিমধ্যেই পেনশনের বোঝায় রীতিমতো অস্বস্তিতে। শ্রমিকদের অবসরের বয়সসীমা বাড়লে, বয়স্ক কর্মীদের পেনশন দেওয়ার জন্য চিনের ওপর নতুন করে চাপ কিছুটা হলেও কমবে।
০২) কর্মরতদের ওপর বোঝা বেড়েছে
চিনে শ্রমিকদের পেনশনের পিছনে রয়েছে কর্মরত শ্রমিকদের অবদান। একদশক আগে, একজন অবসরপ্রাপ্ত চিনা শ্রমিকের পেনশনের পিছনে ১০ জন চিনা শ্রমিকের অবদান থাকত। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা কমে অর্ধেক হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত চিনা শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেই তুলনায় নতুন নিয়োগ সেভাবে হচ্ছে না। সবটাই আর্থিক কারণে। তারপর করোনা পরবর্তী সময়ে সমস্যাটা আরও বেড়েছে। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের অবসরের বয়সসীমা বাড়াতে চাইছে চিনের প্রশাসন।
০৩) আয়ু বৃদ্ধি এবং বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা
চিনের নাগরিকদের আয়ু ২০২৩ সালে বেড়ে ৭৮.৬ বছর হয়েছে। সেটা আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৬০ সালে চিনের নাগরিকদের আয়ু ছিল প্রায় ৪৪ বছর। সেই অনুযায়ী অবসরের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন আয়ু বাড়ায় অবসরের বয়স আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সেই ভাবনা অনুযায়ীই, চিনের কমিউনিস্ট পার্টিও তাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত-বিরোধী বলে অভিযুক্ত ইলহান ওমরের বৈঠক, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির
চিনে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি জনগণের সংখ্যা বর্তমানে ২৮০ মিলিয়ন। সেটা বেড়ে ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪০০ মিলিয়নের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত। কিন্তু, চিনের এক-সন্তান নীতির জন্য বাড়েনি। ১৯৮০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চিনে এক সন্তান নীতি বহাল ছিল। কিন্তু, তাতেও পেনশন গ্রাহকের সংখ্যা শি জিনপিঙের দেশে বিপুলহারে বাড়ছে।