তখনও তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি হননি। সেই সময় গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ জানিয়েছিল যে 'সিলড কভার' ব্যবহার এক 'বিপজ্জনক নজির' তৈরি করেছে। এর ব্যবহার 'বিচার প্রক্রিয়াকে অস্পষ্ট এবং অস্বচ্ছ' করে তুলেছে।
মুখবন্ধ খামের সমালোচনা
সেটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও বিচারপতি চন্দ্রচূড় 'সিলড কভার'-এর কড়া সমালোচনা করেছেন। একই ধরনের সমালোচনা শোনা গিয়েছে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার গলাতেও। যদিও, সুপ্রিম কোর্ট নিজেই 'সিলড কভার'-এর ব্যবহারকে বৈধতা দিয়েছে।
মুখবন্ধ খামের ব্যবহার কখন হয়?
যখন আদালত কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা কোনও সংস্থার থেকে তথ্য চায়, তখন এই 'সিলভ কভার' বা মুখবন্ধ খামেই তা দেওয়া হয়। যা কেবলমাত্র বিচারক বা বিচারপতিরাই দেখতে পান। সুপ্রিম কোর্টের বিধিমালা অনুযায়ী, ওই মুখবন্ধ খামে যা কিছুই থাকুক না-কেন, কোনও পক্ষ বা ব্যক্তি এর অনুলিপি বা নির্যাস পাওয়ার অধিকারী হবেন না। যে কোনও তথ্য, চিঠি, নথি- যা কিছুই হোক না-কেন, যা প্রধান বিচারপতি বা আদালত সিলগালা কভারে রাখার নির্দেশ দেন। তা গোপনীয় প্রকৃতির বলে মনে করেন বলে সেই নির্দেশ দেন। সেই তথ্য বা নথি তাই প্রকাশিত হতে পারে না। তা কেবল জনস্বার্থে, প্রধান বিচারপতি বা আদালত দেখতে পায়।
আরও পড়ুন- কাতারে ইসলামি শাসন কতটা কঠোর? ফিফা বিশ্বকাপের আগে দেখে নেওয়া যাক
আদালত কেন মুখবন্ধ খামে তথ্য চায়?
দুটি পরিস্থিতিতে চাইতে পারে। এক, যখন তথ্য একটি চলমান তদন্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যখন এতে ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য জড়িত থাকে। যুক্তি হল যে একটি চলমান তদন্তের সাথে যুক্ত তথ্যের প্রকাশ তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং ব্যক্তিগত বা গোপনীয় তথ্য প্রকাশের ফলে একজন ব্যক্তির গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে বা বিশ্বাসের লঙ্ঘন হতে পারে।
এই পদ্ধতির সমস্যা
১) এটি অভিযুক্তকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং তথ্য সম্পূর্ণভাবে জানার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। ২) এটি একটি উন্মুক্ত আদালত এবং স্বচ্ছ ন্যায়বিচারের ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
Read full story in English