এর আগে সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গি ও কলেরার মত রোগের ক্ষেত্রে এই আইন রুটিনমাফিক কার্যকর হয়েছিল। কোভিড ১৯ অতিমারী সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলি এবার এই বিধি কার্যকর করছে।
এর আগে সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গি ও কলেরার মত রোগের ক্ষেত্রে এই আইন রুটিনমাফিক কার্যকর হয়েছিল। কোভিড ১৯ অতিমারী সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলি এবার এই বিধি কার্যকর করছে।
৬ মাসের জেল বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। ছবি: পার্থ পাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
রবিবার জনতা কারফিউয়ের পর, বেশ কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের উপদেশ মেনে নিয়ে বিভিন্ন কোভিড ১৯ সংক্রমিত জেলায় পুরোপুরি লক ডাউনের কথা ঘোষণা করেছে।
Advertisment
১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের আওতায় ১৮৬০ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধি মোতাবেক এই নির্দেশ অমান্য করলে ৬ মাস পর্যন্ত কারাবাস বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা দুইই একত্রে হতে পারে।
এর আগে সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গি ও কলেরার মত রোগের ক্ষেত্রে এই আইন রুটিনমাফিক কার্যকর হয়েছিল। কোভিড ১৯ অতিমারী সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলি এবার এই বিধি কার্যকর করছে।
Advertisment
১৮৯৭ সালের মহামারী রোগ আইনের তিন নং ধারায় এই আইনের নির্দেশ বা বিধি অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক (সরকারি কর্মী দ্বারা লাগু নির্দেশ অমান্য করা) শাস্তির কথা বলা রয়েছে।
যে বা যারা সরকারি কর্মচারীর জারি করা নির্দেশ অমান্য করবে
তারা যদি নির্দেশ অমান্য করে বা নির্দেশ প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করে, বা আইন বলবৎকারীর বিঘ্ন বা ক্ষতি সাধন করে বা তেমন চেষ্টা করে, তাহলে তাদের এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রমের কারাদণ্ড বা ২০০ টাকা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে,
এবং যদি এই অমান্য করবার ফলে মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার হানির সম্ভাবনা ঘটে থাকে অথবা হাঙ্গামা ঘটে থাকে তাহলে তাহলে দোষী ব্যক্তির ৬ মাস পর্যন্ত জেল বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
ব্যাখ্যা- অপরাধী ক্ষতিসাধন করতে চেয়েছিল তিনা বা তার অমান্য করবার ফলে ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানা জরুরি নয়। তিনি জেনেশুনে নির্দেশ অমান্য করেছিলেন এবং তাঁর এই অমান্য করবার ফলে ক্ষতিসাধন হয়েছে বা হতে পারত, এটুকুই যথেষ্ট।
কোনও ধর্মীয় মিছিল কোনও নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে না, এরকম কোনও নির্দেশ জারি করা যেতে পারে। জেনেশুনে সে নির্দেশ অমান্য করা হলে দাঙ্গা ঘটার বিপদ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এই আইন অমান্য করা হল।
রতনলাল ও ধীরজলাল লিখিত ভারতীয় দণ্ডবিধি (১৯তম সংস্করণ) তে বলা রয়েছে অভিযুক্ত জেনেবুঝে নির্দেশ অমান্য করেছিল তার যথোপযুক্ত প্রমাণ থাকতে হবে। সাধারণ নির্দেশিকা জারিই এ ব্যাপারে যথেষ্ট নয়। এই নির্দেশের অমান্য করলেই অপরাধসাধন হয় না, এই অমান্য করবার ফলে নির্দিষ্ট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা দেখাতে হবে।
১৮৮ ধারায় পাঁচজন বা তার বেশি সংখ্যায় জমায়েত নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।