করোনার বাড়বাড়ন্ত আছে তবে 'দাপট' কমেছে। ধোঁয়াশার মতো শোনালেও আসলে বিষয়টা এটাই। ভারতের মতো ১৪০ কোটির দেশে দৈনিক গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি। কিন্তু তেমনই পাল্লা দিয়ে কিন্তু বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। ভ্যাকসিন আসেনি ঠিকই, কিন্তু প্রতিরোধ ক্ষমতা কিন্তু তৈরি হয়ে যাচ্ছে মানবদেহে। আর এই আবহেই এবার চমক জাগালো নয়া তথ্য।
মার্কিন মুলুকের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে একবার কোনও ব্যক্তি যদি কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার তাঁর আর আক্রান্তের সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। অন্তত এখনও পর্যন্ত এমনটাই প্রমাণ পেয়েছে সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
কেন এমনটা হচ্ছে? বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা আছে?
হ্যাঁ। দেখা গিয়েছে কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও তাঁর দেহে এই ভাইরাস খুব কম শক্তিশালী হলেও তিন মাস থেকে যাচ্ছে। এমনকী তিন মাসের মধ্যে যখন ফের একবার তাঁর পরীক্ষা হচ্ছে তখন ধরাও পড়ছে। কিন্তু এটা কিন্তু নতুনভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা নয়। তবে আশার কথা এটাই যে ১৪ থেকে ১৬ দিন পর যখন কোভিড পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এরপর তাঁর দেহে ভাইরাস থাকলেও সে ভাইরাস কিন্তু পরবর্তী তিনমাস অন্য কারুর দেহে সংক্রমিত হচ্ছে না।
আরও পড়ুন, লিভারের সমস্যা থাকলেই আক্রমণ করছে করোনা, প্রমাণ পেলেন গবেষকরা
সিডিসির তরফে জানা হয়, "সারস কোভ-২ ভাইরাসের পুনরায় আক্রমণ নিয়ে বিশদে কোনও খবর নেই। কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি যে এমনটাই হচ্ছে। তবে আমরা বাকি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।" তবে আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী তিন মাসে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা তৈরি হচ্ছে সে বিষয়ে প্রামান্য কোনও যুক্তি দেওয়া হয়নি সিডিসির তরফে। তবে যেহেতু এই ভাইরাস দেহে থেকে যাচ্ছে তাই নতুন করে আক্রান্ত কিন্তু হচ্ছে না। তাই তাঁদের মত কোনও ব্যক্তি সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত কি না তা পরীক্ষা করতে হলে তিন মাস পরই করা উচিত।
আরও পড়ুন, করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ তৈরি রাশিয়ায়, অগাস্টের শেষেই বাজারে আসছে
মার্কিন মুলুকে করোনা নিয়ে সবরকম পরীক্ষানিরীক্ষার করার মাঝেই ফের নয়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "যারা করোনা আক্রান্ত কিন্তু খুব মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ১০ দিন আইসোলেশনে রেখে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে লক্ষণ খুব গুরুতর, তাঁদের কমপক্ষে ২০ দিন আইসোলেশনে রাখা উচিত।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন