করোনা সংক্রমণের অতিবৃদ্ধির কারণে মহারাষ্ট্র নিয়ে সকলের যখন মাথাব্যথা, সে সময়েই গত কয়েকদিন ধরে সংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটছে গুজরাটে। গত এক সপ্তাহে নভেল করোনাভাইরাসে গুজরাটে সংখ্যাটা তিনগুণ বেড়েছে, ১৫ এপ্রিল যে সংখ্যা ছিল ৭৬৬, ২২ এপ্রিল, বুধবার তা পৌঁছিয়েছে ২৪০৭-এ।
কোভিড- ২৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও এই সময়কালে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ে মৃত্যু ঘটেছে ৬৭ জনের। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত গুজরাটে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০৩, মহারাষ্ট্রের (২৭০) ঠিক পরেই।
সংক্রমণের শীর্ষ ১০ রাজ্যের খতিয়ান
বুধবার দেশে ১২৭৩ জনের নয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, রাজ্যগুলি থেকে আসা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২১,২৪৮। ১২৭৩টি নতুন সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে ১০১৭, অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ ঘটেছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে ও দিল্লি, এই পাঁচ রাজ্যে।
বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাস নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩১ জন, আক্রান্তের মোট সংখ্যা সে রাজ্যে ৫৬৪৯, যা দেশের মোট সংক্রমণের এক চতুর্থাংশের বেশি। গত মাত্র চার দিনে মহারাষ্ট্রে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ২০০০। করোনা পজিটিভ মানুষের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম এখন গুজরাট।
বুধবার যে ২২৯ জন নতুন সংক্রমিতের খবর এসেছে, তা ধরলে এখন সে রাজ্যে কোনও না কোনও সময়ে মোট ২৪০৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৭৯ জনকে আরোগ্যের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমান সংক্রমিতের সংখ্যা ২২২৮।
বুধবার সারা দেশ থেকে মোট ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, দেশে কোভিড -১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৬৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া হিয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। দেশের সবচেয়ে করোনাপ্রবণ মহারাষ্ট্র ও পুনেতেই এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।
দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য - কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, ও তেলেঙ্গানা থেকে বুধবার ১২৪ জনের নতুন সংক্রমণের খবর এসেছে। উত্তর পূর্বের সাত রাজ্য থেকে গত পাঁচ দিনে একটি নতুন সংক্রমণেরও খবর আসেনি। ওই এলাকায় মোট ৪৯ জন পজিটিভ হয়েছিলেন, এর মধ্যে ৩৪ জন আসামের ও ১১ জন মেঘালয়ের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন