লকডাউন চলছে, নতুন সংক্রমণও বাড়ছে, গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন মৃত্যুসংখ্যাও বেড়ে চলেছে। শনিবার প্রথমবারের জন্য ২৫০০-র বশে নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ৯৩।
শনিবারের শেষে ভারতে সংক্রমণ প্রায় ৪০ হাজার, মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার অতিক্রম করেছে।
শনিবার বিস্ময়কর কিছু ঘটেনি, এবং সংখ্যাগত যে প্রবণতা দেখা গেল, তা আমরা গত কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছি। নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর বড় অংশই ঘটছে সংক্রমণে শীর্ষ পাঁচ বা সাতটি দেশ থেকে, যেখানে অন্য রাজ্যে এই সংখ্যা অনেকটাই কম।
৪ মে ঠিক কোথায় কোথায় মদের দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার?
মহারাষ্ট্র ও গুজরাট দুই রাজ্যেই মৃত্যুসংখ্যা এক দিনে সর্বোচ্চ। মহারাষ্ট্রে যেখানে ৩৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে, গুজরাটে ঘটেছে ২৬ জনের। দক্ষিণে তামিলনাড়ুতে সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে। শনিবার সেখানে ২৩১ জন রোগী ধরা পড়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ, সেখানে এখন রোগীর সংখ্যা ২৭৫৭, যা দাক্ষিণাত্যের পাঁচ রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক।
গত চারদিনে সেখানে নতুন রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ১২১, ১০৪, ১৬১ ও ২০৩। তামিলনাড়ু দেশের মধ্যে সংক্রমণের দিক থেকে এখন পাঁচ নম্বরে, যার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ।
শনিবার দিল্লিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪০০০ ছাড়াল, এদিন সেখানে নতুন সংক্রমণ ৩৮৪, যা অস্বাভাবিক রকমের বেশি। গুজরাটে সংক্রমিত ৫০০০-এর বেশি।
মহারাষ্ট্রের নান্দেড থেকে ফেরা তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যার জেরে পাঞ্জাবে সংক্রমণ সংখ্যার হঠাৎ বৃদ্ধি ঘটেছে। শনিবার সে রাজ্যে ১৮৭ জন নতুন সংক্রমণ দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে ১৪২ জন নান্দেড ফেরত তীর্থযাত্রী। ৩৫০০-র বেশি শিখ তীর্থযাত্রী গত কয়েকদিনে নান্দেড থেকে ফিরেছেন, যার মধ্যে ২৪২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
মহারাষ্ট্রের পূর্তমন্ত্রী অশোক চহ্বন বিধানসভায় নান্দেড জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি বলেন, যে সব গাড়িচালকরা মহারাষ্ট্র থেকে পাঞ্জাবে তীর্থযাত্রীদের ফিরিয়ে এনেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, মোট ৭৮টি বাসে করে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে আসা হয়, প্রতিটিবাসে দুজন করে চালক ছিলেন। কিন্তু শনিবার নান্দেড গুরদোয়ারা লঙ্গর সাহিবে আটকে থাকা অন্তত ২০ জন সেবাদারদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁরাও সংক্রমিত।ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং আধিকারিকদের বলেছেন রাজ্যে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে, প্রতিদিন অন্তত ৬০০০ পরীক্ষা করার কথা বলেছেন তিনি।দীর্ঘ সময় ধরে পিপিই ব্যবহারের ফলে ক্ষতির মুখে চিকিৎসা কর্মীরা(* রাজ্য সরকার জানিয়েছে তারা করোনাভাইরাস সংক্রমিত ৭২ জনের মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে ধরছে না,কারণ একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছেতাঁদের মৃত্যু তাঁদের শরীরের আগের কোনও রোগের কারণেও হওয়া সম্ভব। রাজ্য সরকার এখন প্রতিদিনের মৃত্যুর খতিয়ান দিচ্ছে, মোট মৃত্যুর খতিয়ান জানাচ্ছে না।)ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন