শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ রোগীদের ছাড়ার ব্যাপারে সংশোধিত নীতিসমূহের কথা ঘোষণা করেছে।
মৃদু/অতি মৃদু/উপসর্গপূর্বদের ডিসচার্জ নীতি
এ ধরনের রোগীদের সংক্রমণ দেখা দেবার ১০ দিন পর, অন্তত তিনদিন ধরে যদি জ্বর না আসে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগের অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল বুকের রেডিওগ্রাফ, শ্বাসের নমুনায় ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে এবং ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কোনও রোগীর নমুনায় দুবার নেগেটিভ এলে তবেই তাঁকে ছাড়া যেতে পারে।
এবার সংশোধিত গাইডলাইন অনুসারে ছাড়ার পর রোগীকে সাতদিন হোম আইসোলেশেনে থাকতে হবে। তবে ছাড়ার আগে রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশেন ৯৫ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তাহলে তাঁকে কোভিড হেলথ সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান জরুরি, কারণ তার পরিমাণ ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে রোগী ক্লান্তি, সংশয় ও মানসিক সমস্যার মুখে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন, করোনা হিসেব- নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমছে
মাঝারি ধরনের ক্ষেত্রে কোভিডের জন্য নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে
যেসব রোগীর অবস্থা মাঝারি তাঁদের শরীরের তাপ ও অক্সিজেন স্যাচুরেশনের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যদি তিন দিনের মধ্যে জ্বরের সমস্যা মিটে য়ায় এবং রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা পরবর্তী চারদিন ৯৫ শতাংশের উপর কৃত্রিম অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই বজায় থাকে, তাহলে তাঁদের ১০ দিন পর ছেড়ে দেওয়া হবে, তবে নিশ্চিত হতে হবে যে তাঁর জ্বর নেই এবং শ্বাসের সমস্যাও চলে গিয়েছে, অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই।
এই পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলে মাঝারি সংক্রমিতদেরও ডিসচার্জের আগে টেস্ট করার প্রয়োজন নেই, তাঁদের সাত দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে বলতে হবে।
আরও পড়ুন, শিথিলতর লকডাউনের এক সপ্তাহ- সব খোলার রাস্তায় হাঁটছে কেন্দ্র
যেসব মাঝারি সংক্রমিতদের তিন দিন পরেও জ্বর কমছে না এবং যাঁদের অক্সিজেন দেওয়ার দরকার হচ্ছে, তাঁদের এইসব সমস্যা মেটার পরই ছাড়া যেতে পারে, যদি তাঁরা পরপর তিনদিন অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া স্যাচুরেশন মাত্রা বজায় রাখতে পারেন। এঁদের ক্ষেত্রেও RT-PCR পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
এইচআইভি বা ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে এমন রোগীদের ও মারাত্মক সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে কী হবে
এ ধরনের ক্ষেত্রে ক্লিনিকাল সুস্থতার উপরেই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্থির হবে এবং তাঁদের উপসর্গ চলে যাবার পর RT-PCR টেস্ট করতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন