চিনের স্বাস্থ্য দফতর সোমবার করোনায় আরও দুটি মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে করোনায় এটাই প্রথম চিনে মৃত্যুর ঘটনা। ইতিমধ্যেই চিনে করোনা সংক্রমণের ঢেউ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, চিন ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে তাদের কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
সরকার কী বলছে?
যদিও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা আর সরকারি চিত্র, দুটো অনেকটাই আলাদা। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, ২০২০ সালে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়। তারপর থেকে এখনও মাত্র ৫,২৩৭ জন করোনায় মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি মতে, চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮০,৪৫৩। তবে, ভারত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এই সংখ্যাটাও বেশ কম।
সমস্যাটা কোথায়?
করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় চিন একটু বেশি তৎপরতা প্রথম থেকেই দেখিয়েছে। চিনের কনটেনমেন্ট জোন নিয়ে বাড়াবাড়ি রীতিমতো অত্যাচারের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যাকে বলা যায় একদম জিরো কোভিড-নীতি। আর, এতে চিন করোনা মোকাবিলায় সাফল্যও পেয়েছে।
প্রকৃতই কোভিড শূন্য?
করোনা আবহের পর একটা সময় অন্য দেশগুলো নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতে ইতি টেনেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টা করেছে। চিন কিন্তু, সেই পথে হাঁটেনি। সেই জিরো কোভিড নীতি চালিয়েই গিয়েছে। মানে, নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি লাগাতার চলেছে। একটু সন্দেহতেই আক্রান্তকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন- দলের নেতাকে খুনের চেষ্টা, অনুব্রতর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত, দিল্লি-যাত্রা রুখতে কৌশল?
তাহলে কোথায় সমস্যা?
এই বাড়াবাড়ির ফলে চিন হয়তো প্রাথমিকভাবে কোভিড রোখায় সাফল্য পেয়েছে। বেশিরভাগ নাগরিকেরই করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। কিন্তু, তার বিপুল সংখ্যক নাগরিকদের মধ্যে কোভিড রোখার অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটিও তৈরি হয়নি। তার ফলে ওই সব নাগরিকদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভ্যাকসিনেশনের কী অবস্থা?
চিন এখনও পর্যন্ত নাগরিকদের ৩৫০ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়েছে। তারপরও এখনও বহু নাগরিক ভ্যাকসিন পাননি। তার ফলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার ওপর চিনের দুটি ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম আদৌ করোনা রুখতে কতটা কার্যকর, তা নিয়েও সন্দেহ আছে বিশেষজ্ঞদের।
Read full story in English