Advertisment

Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমাল, কেন এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম? কেনই বা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়?

Name of Cyclone: বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Cyclone Remal, Sea, সাইক্লোন রেমাল, সমুদ্র,

Cyclone Remal-Sea: ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। (ছবি- স্ক্রিনগ্যাব)

Cyclone Remal Bengal and meaning of the name:মানুষ যাতে ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে, সেই কারণে নামকরণের প্রথা চালু হয়েছে। এই নামের সাহায্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও, বিজ্ঞানীরা, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে। নামই বুঝিয়ে দেয়, এটা আলাদা ঘূর্ণিঝড়। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, প্রস্তুতি নিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে এই নাম কাজে লাগে। ঘূর্ণিঝড় আসলে কোনও অঞ্চলের সাইক্লোনিক সিস্টেম। বিশ্বের সব জায়গাতেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একইভাবে নামকরণের রীতি চালু আছে।

Advertisment

রেমাল নামের অর্থ

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটিই হবে প্রথম প্রাক-মৌসুমি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় রেমাল নামের অর্থ- 'বালি'। নামটা বেছে নিয়েছে ওমান। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের আদর্শ নিয়ম অনুসারে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।

সারণী 1: উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম

দেশ

কলাম 1

কলাম 2

কলাম 3

কলাম 4

কলাম 5

বাংলাদেশ

নিসর্গ

বিপরজয়

অর্ণব

উপকুল

বারশোন

ভারত

গতি

তেজ

মুরাসু

আআগ

ব্যোম

ইরান

নিভার

হামুন

আকভান

সেপান্ড

বুরান

মালদ্বীপ

বুরেভি

মিধিলি

কানি

ওডি

কেনউ

মায়ানমার

তাকতায়

মিচাং

এনগামান

কিয়ারথিট

সপাকিয়ে

ওমান

ইয়াস

রিমাল

পাল

নাসিম

মুজন

পাকিস্তান

গুলাব

আসনা

সাহাব

আফশান

মানাহিল

কাতার

শাহীন

দানা

লুলু

মৌজ

সুহেল

সৌদি

জাওয়াদ

ফেঙ্গাল

গাজীর

যেন

সিদরাহ

শ্রীলংকা

আসানি

শক্তি

গিগুম

গগনা

ভেরম্ভ

থাইল্যান্ড

সিত্রং

মাস

থিয়ানিওট

বুলান

ফুটতলা

সংযুক্ত আরব আমিরাত

ম্যান্ডাস

সেনিয়ার

আফুর

নাহহম

কুফল

ইয়েমেন

মোচা

ডিটওয়াহ

দিকসাম

সিরা

বাখুর

ওমান কেন বেছে নেবে?

কিন্তু, ওমান কেন বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম বেছে নেবে? এই প্রশ্নও উঠেছে। আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ। এটি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা। পাশাপাশি রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন- এসক্যাপ (ESCAP)। এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে থাকা একটি আঞ্চলিক কমিশন। যা এশিয়ায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে। ওমান যার সদস্য।

সারণী 2: উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম

দেশ

কলাম 6

কলাম 7

কলাম 8

কলাম 9

বাংলাদেশ

রজনী

নিশীথ

উর্মি

মেঘলা

ভারত

ঝাড়

প্রবাহো

নীর

প্রভঞ্জন

ইরান

অনাহিতা

আজার

পুয়ান

আরশাম

মালদ্বীপ

এনধেরি

রিয়াউ

গুরুভা

কুরাঙ্গি

মায়ানমার

Wetwun

Mwaihout

কিওয়ে

পিংকু

ওমান

সাদিম

দিমা

মঞ্জুর

রুকম

পাকিস্তান

সুজানা

পারওয়াজ

জান্নাত

সরসার

কাতার

সাদাফ

রিম

রায়হান

আনবার

সৌদি

হরিদ

ফেইড

কাসির

নাখিল

শ্রীলংকা

গর্জানা

নীবা

নিন্নাদা

বিদুলি

থাইল্যান্ড

আইয়ারা

সামিং

ক্রাইসন

ম্যাচা

সংযুক্ত আরব আমিরাত

দামান

ডিম

গার্গুর

খুব

ইয়েমেন

ঘুইজি

হাফ

বালহাফ

ব্রম

ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা

উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর উভয় অঞ্চলেই) ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা এবং দুর্যোগ প্রশমনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে, ডব্লিউএমও ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কমিটি (পিটিসি) তৈরির জন্য ১৯৭২ সালে বৈঠক করেছিল। তৈরি হয়েছিল পিটিসি। পিটিসি মূলত আটটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে তৈরি হয়। এই দেশগুলো হল- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওমান এবং থাইল্যান্ড।

সারণি 3: উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম

দেশ

কলাম 10

কলাম 11

কলাম 12

কলাম 13

বাংলাদেশ

সামিরন

প্রতিকুল

সরোবর

মহানিষা

ভারত

ঝুরনি

অম্বুদ

জলধি

ভেগা

ইরান

হেনগেম

সাভাস

তাহামতন

তুফান

মালদ্বীপ

কুরেধি

হোরাঙ্গু

থুন্ডি

ফাআনা

মায়ানমার

ইংকাউং

লিনিওন

কাইকান

বটফাট

ওমান

ওয়াতাদ

আল-জারজ

রাবাব

রাদ

পাকিস্তান

বদবন

সররব

গুলনার

ওয়াসেক

কাতার

ওউদ

বাহার

সিফ

ফানার

সৌদি

হাবুব

বারেক

আলরেম

ওয়াবিল

শ্রীলংকা

ওঝা

সলিথা

রিভি

রুদু

থাইল্যান্ড

মহিংসা

ফ্রেওয়া

আসুরি

থারা

সংযুক্ত আরব আমিরাত

দেগল

অথমদ

বুম

সাফফার

ইয়েমেন

শুক্রা

ফরতাক

দরসঃ

সামহাহ

ঘূর্ণিঝড়ের নাম আদৌ কেন?

ঘূর্ণিঝড়ের নাম গ্রহণ করা মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও, এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক ইত্যাদিকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি বাড়াতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের অনুরূপ নামকরণের রীতি রয়েছে।

পিটিসির অধিবেশন এবং নামকরণ

২০০০ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়, পিটিসির ২৭তম অধিবেশন। পিটিসি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ তাদের সুপারিশ পাঠানোর পর, পিটিসি তার তালিকা তৈরি করে। আর, ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। পিটিসি ২০১৮ সালে, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনকেও তাদের সংগঠনভুক্ত করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে, ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সদস্য ১৩টি দেশের প্রত্যেক সদস্য ১৩টি করে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- অল্প সময়ের সরকারে ঘটনার ঘনঘটা! বদলে দিয়েছিল বিশ্বে ভারতের পরিচিতি

কোন দেশে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, বা আছড়ে পড়বে নামকরণের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশগুলোর পরপর নাম অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। যেমন, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে। ভারত নাম দিয়েছিল গতি। আছড়ে পড়েছিল সোমালিয়াতে। ইরান নাম দিয়েছিল নিভার। আছড়ে পড়েছিল তামিলনাড়ুতে।

cyclone IMD Bay of Bengal West Bengal Cyclone Remal
Advertisment