Dadasaheb Mithun: অভিনেতা এবং প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীকে ২০২৪-এর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। ৮ অক্টোবর, ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
মিঠুনের প্রতিক্রিয়া ও ডিস্কো ড্যান্সার
এই খবর পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মিঠুন বলেছেন, 'এত সম্মানজনক এক পুরস্কার পাওয়ার খবরে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। কোন ভাষায় এই খুশি প্রকাশ করব, জানি না। কাঁদতেও পারছি না, হাসতেও পারছি না। আমি এই পুরস্কার আমার পরিবার আর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অগণিত ভক্তকে উৎসর্গ করছি।' তাঁর কেরিয়ার বলিউডে ব্রেক পায় ১৯৮২-তে। সৌজন্য 'ডিস্কো ড্যান্সার' সিনেমা। ওই সিনেমায় মিঠুন একজন তরুণ স্ট্রিট পারফর্মার 'জিমি'র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। 'ডিস্কো ড্যান্সার' মিঠুনকে সুপার স্টারডমে পরিণত করে। বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করা প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র ছিল সেই ছবি।
ডিস্কো নাচের উৎপত্তি
এই 'ডিস্কো' শব্দটি ফরাসি ডিস্কোথেক থেকে এসেছে। ডিস্কো, এমন এক জায়গা, যেখানে লোকজন জড় হয়। পপ মিউজিকের সঙ্গে নাচগান করে। ১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকে যুদ্ধরত জার্মানি এবং ফ্রান্সের পাবলিক ডান্স পার্টি থেকে 'ডিস্কো' নাচের সৃষ্টি। এই নাচ এসেছে সোল, সালসার মত বিভিন্ন নাচের মিশ্রণ থেকে। অ্যালিস ইকোলস ২০০৮ সালে প্রকাশিত তাঁর বই, 'হট স্টাফ: ডিস্কো অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অফ আমেরিকান কালচার'-এ লিখেছেন, 'ডিস্কো নাচ বিভিন্ন নাচের মিশ্রণে তৈরি। এই নাচ সংগীতের ধারণা এবং বাগধারাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- ঔপনিবেশিক প্রভাব দূরীকরণ! বিরাট পরিবর্তন সশস্ত্রবাহিনীর
আমেরিকায় ডিস্কোর প্রভাব
ডিস্কো সংস্কৃতি ১৯৬৪-তে পূর্ণরূপে ছড়িয়ে পড়ে। ডিজে আর লাইট এবং সাউন্ডের মিশ্রণে এই নাচ এক মোহময় পরিবেশ তৈরি করে। সৌজন্যে ছিলেন ডিজে জিমি স্যাভিল, টেরি নোয়েলরা। নিউ ইয়র্ক সিটিতে ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে ডিস্কোর উত্থান সমকামী ক্লাবগুলোর উত্থানের সঙ্গে মিলে যায়। আফ্রো-ল্যাটিনো জনতা এর দ্বারা বেশি আকৃষ্ট হন। বর্ণবাদী আমেরিকাতেও যা দারুণ প্রভাব ফেলে। ডোনা সামার এবং গ্লোরিয়া গেনোরের মত শিল্পীরা এই সময় জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার ঢেউ আছড়ে পড়ে ভারতের নাইট ক্লাবগুলোতেও।
সোভিয়েত ইউনিয়নে ডিস্কো ড্যান্সারের প্রভাব
ডিস্কো ড্যান্সার মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত সোভিয়েত ইউনিয়নেও তা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এই সিনেমা দেখতে লাইন দিয়ে হলগুলোতে ভিড় করেছিলেন দর্শকরা। তাজিকিস্তানে তো ভিড়ে পদপিষ্ট হয়েই এক দর্শকের মৃত্যু হয়েছিল।