/indian-express-bangla/media/media_files/wRy2lCmKif5h9wvY2luz.jpg)
Dengue cases: ডেঙ্গু একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়ায়। (Pixabay এর মাধ্যমে)
Dengue cases: ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি পেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গিয়েছে ব্রাজিল, আমেরিকায়। ডেঙ্গু একটি ভাইরাল সংক্রমণ। যা এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব অনুভব, শরীরে ফুসকুড়ি তৈরি হওয়ার মত নানা সমস্যা দেখা দেয়। সংক্রমণের ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত বা ইন্টারনাল হ্যামারেজ হতে পারে। এমনকী মৃত্যুও অস্বাভাবিক নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এবছর জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৬,৯৯১ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মত ভারতেও এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তর সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। ন্যাশনাল ভেক্টর বার্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুনের শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩২,০০০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে অন্ততপক্ষে ৩২ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব অপূর্ব চন্দ্র, আগস্টের শুরুতে বলেছিলেন যে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ভারতে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন- সিবিএসইর প্রস্তুতিতে বেশিরভাগই ফেল! বাধ্য হয়ে বদল সিদ্ধান্তে
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে ভারতে ডেঙ্গুর ভৌগোলিক বিস্তার। ২০০১ সালে ভারতে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল শুধুমাত্র দেশের আটটি রাজ্যে। কিন্তু, ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ মিলেছে। ২০২২ সালে প্রথমবার লাদাখেও দুই ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ মেলে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেছেন
নয়াদিল্লির আন্তর্জাতিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি সেন্টারের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেস গ্রুপের ড. সুজাতা সুনীল বলেছেন, 'ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ নগরায়ন। এবার দিল্লিতে যেমন গরম পড়েছে। তেমনই বৃষ্টিরও মুখে পড়েছেন দিল্লিবাসী। যা এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজননে সাহায্য করেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মশারা এমন জায়গায় বংশবিস্তার করতে পারে, যেখানে তারা আগে পারেনি। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে পাহাড়েও এখন মশারা বংশবিস্তার করতে পারছে।'