Andhra Pradesh-CBSE: আর কয়েক মাস পর, অন্ধ্র প্রদেশে প্রায় ৮০ হাজার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজ্য শিক্ষাবোর্ড পরিচালিত পরীক্ষায় বসবে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)-এর পরীক্ষায় এই শিক্ষার্থীরা বসবে বলে প্রথমে কথা ছিল। কিন্তু, পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। চলতি মাসের গোড়ার দিকে, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি সরকার আগের ওয়াইএসআরসিপির ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির শাসনকালে নেওয়া সিবিএসই পরীক্ষায় অন্ধ্রপ্রদেশের পরীক্ষার্থীদের বসানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। কারণ, নাইডু সরকারের ধারণা, আগের সরকার 'পর্যাপ্ত কারণ' ছাড়াই পরীক্ষার্থীদের সিবিএসই পরীক্ষায় বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি স্কুলের ছাত্রদের সিবিএসই পরীক্ষায় বসার প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে?
জগনমোহন রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে, তিনি ২০২১ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের সমস্ত সরকারি স্কুলকে সিবিএসইর অধীনে নথিভুক্ত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ওয়াইএসআরসিপি (YSRCP) সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশের ৬,৮৪৫টি সরকারি হাইস্কুলের মধ্যে ১,০০০টি ২০২৩ সালে সিবিএসই (CBSE)-র নথিভুক্ত হয়েছিল। এই স্কুলগুলোর প্রায় ৭৬,৯৯০ জন ছাত্র চলতি শিক্ষাবর্ষে সিবিএসইর ১০ম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসবে বলেই স্বভাবত মনে করা হচ্ছিল।
- ৩২৬টি স্কুলে কেউ পাস (৩৫ নম্বর) করতে পারেননি।
- ৫৫১টি স্কুলে পাসের হার ১% থেকে ২৫%।
- ৬৬টি স্কুলে পাসের হার ২৬% থেকে ৫০%।
- ৩৭টি স্কুলে পাসের হার ৫১% থেকে ৭৫%।
- ১৪টি স্কুলে পাসের হার ৭৬% থেকে ৯৯%।
- ১টি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা সব বিষয়ে পাস করেছে।
কেন টিডিপির প্রশাসন রেড্ডি সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল?
অন্ধ্রপ্রদেশের স্কুলশিক্ষা সচিব কোনা শশীধরের মতে, 'ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার জন্য কেমন প্রস্তুত জানতে ত্রৈমাসিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, পরীক্ষার্থীদের ফল আশঙ্কাজনকরকম খারাপ। বেশিরভাগই পাশ করতে পারেনি। আসলে, সিবিএসইর সিলেবাস এবং তার পঠনপাঠন পদ্ধতি আর রাজ্য সরকারের পঠনপাঠন পদ্ধতি এবং সিলেবাসের আকাশ-পাতাল ফারাক। সেসব বিশ্লেষণ না করেই স্কুলগুলোকে সিবিএসইর অধীনে নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।'
আরও পড়ুন- 'অনুপ্রবেশকারী' ইস্যুতে বেলাগাম অমিত শাহ, সুর চড়াল ঢাকাও
কে কী জানিয়েছেন?
টিডিপির সরকার আগের সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পর মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এর একটি পোস্টে অভিযোগ করেছেন, 'অন্ধ্রপ্রদেশের শিক্ষার্থীদের ভালো মানের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হল। দরিদ্র, সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে দেওয়া হল। তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হল।' জবাবে, অন্ধ্রপ্রদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী তথা চন্দ্রবাবু নাইডুর ছেলে নারা লোকেশ সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (X)-এ লিখেছেন, 'ওই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, তাদের সিবিএসইর কায়দায় পরীক্ষায় লিখতে হবে। শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়েই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। আর, এখন তার ফল ভুগছে অন্ধ্রপ্রদেশের পড়ুয়ারা।'