পাকিস্তানের বাসিন্দা, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার উপপ্রধান আবদুল রেহমান মক্কিকে রাষ্ট্রসংঘ 'আন্তর্জাতিক জঙ্গি' ঘোষণা করল। সদ্য রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকাভুক্ত মক্কি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের ভাই। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১২৬৭ আল কায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটি ৬৮ বছরের মক্কিকে সোমবার কালো তালিকভুক্ত করেছে। মক্কির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি এতদিন চিনের কারণে আটকে ছিল।
চিনের আপত্তি প্রত্যাহার
ভারত অনেকদিন আগেই মক্কিকে 'আন্তর্জাতিক জঙ্গি' ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল। ভারতের সেই দাবি আমেরিকাও সমর্থন করেছিল। কিন্তু, চিন এতদিন আপত্তি জানিয়ে আসছিল। এবার চিন, সেই আপত্তি প্রত্যাহার করেছে। 'আন্তর্জাতিক জঙ্গি' তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি রাখার অধিকার থাকে না। তাদের কোথাও বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। এই সব ব্যক্তিদের অস্ত্র রাখার অধিকারও থাকে না।
কে এই আবদুল রেহমান মক্কি?
হাফিজ সইদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের জন্যই মক্কির এত পরিচিতি। ২০১৯ সালে হাফিজ সইদকে ৩৫ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তারপর থেকে মক্কিই তার দাদা সইদের সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছে। লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়ার মত সংগঠনের দেখভাল করছে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকাভুক্ত হয় হাফিজ সইদ।
হা্মলার চক্রী
সেই সময় তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা কমিটি বলেছে যে মক্কি যখন লস্কর-ই-তইবা এবং জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা ছিল, সেই সময় ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর লালকেল্লা আক্রমণে নাম উঠেছিল লস্করের। সেই সময়ে লালকেল্লায় উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের ওপর জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন- লোকসভার আগে সভাপতি বদলের সাহস দেখাতে ব্যর্থ বিজেপি, মেয়াদ বাড়ল নাড্ডার
জ্বালাময়ী বক্তৃতা
মক্কির উপাধিও হাফিজ। তার কোরান মুখস্থ। তাকে জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া বা জেডিইউয়ের নায়েব আমির বলা হয়। হাফিজ সইদের মুক্তির জন্য আদালতে তার লোকজন যে মামলা করেছে, সেই মামলার শুনানিতে মক্কি নিয়মিত হাজিরা দেয়। গোয়েন্দাদের কাছে খবর আছে, মক্কির ভাষণ রীতিমতো জ্বালাময়ী।
ভারতকে হুমকি
প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এই কাশ্মীর সংহতি দিবস পালিত হয়। সেই কর্মসূচিতে মঞ্চে মক্কির আসন থাকে পাকা। ২০১০ সালের সেই সমাবেশে মক্কি ভারতকে হুমকি দিয়েছিল। সে বলেছিল হয়, কাশ্মীর পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে হবে। না-হলে, ভারতে রক্তের নদী বইবে।
Read full story in English