ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় ধুন্ধুমার। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লুই ইনাসিও লুলা দ্য সিলভার কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অতি-ডানপন্থী জেইর বোলসোনারো। তাঁর সমর্থকরা রবিবার, ৮ জানুয়ারি ব্রাসিলিয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে। নেতৃত্বে ছিলেন বোলসোনারো। তাঁর দেশের আইনসভা, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রেসিডেন্টের অফিসে বোলসোনারোর সমর্থকরা জোর করে ঢুকে পড়েন। তাঁরা জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। আগুন লাগিয়ে দেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পাশাপাশি, স্লোগান দেন।
হামলাকারীদের হাতে ছিল ব্রাজিলের পতাকা। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ব্রাজিল এবং তার আইনসভা দখল করে নিয়েছেন। নিজেদের এই সব তাণ্ডব মোবাইল ফোনেও বন্দি করে রাখেন বোলসোনারোর সমর্থকরা। ব্রাজিলের এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন, 'প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলা উচিত।' যাইহোক, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই ব্রাজিলের প্রশাসন জানিয়েছে।
বোলসোনারো সমর্থকদের অভিযোগ, ব্রাজিলের নির্বাচন ব্যবস্থা পচে গিয়েছে। সেই সুযোগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন লুলা দ্য সিলভার সমর্থকরা। রবিবার বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠলেও গত ৩১ অক্টোবরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে এতদিন শান্তই ছিলেন ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, তাঁর সমর্থকরা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা চালিয়েই যাচ্ছিলেন। সঙ্গে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সমাজের উচ্চশ্রেণি ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
আরও পড়ুন- অবিলম্বে ওআরওপির বকেয়া মেটান, কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বোলসোনারোর সমর্থকদের দাবি ছিল, ব্রাজিলে সেনাশাসন চালু করতে হবে। একইসঙ্গে তারা ১ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করা থেকে লুলাকে বাধাও দিয়েছেন। লুলার জয়ের ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তারা বারেবারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। সরকারি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। আর, হিংসাত্মক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। লুলা ক্ষমতায় বসার পর থেকে বোলসোনারো সমর্থকরা নতুন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালান। প্রতিবাদ জানাতে নিজেদের সমর্থকদের জড় হওয়ার আহ্বান জানানো শুরু করেন। যার ফলশ্রুতি ৮ জানুয়ারির তাণ্ডব বলেই মনে করছে ব্রাজিল প্রশাসন।
Read full story in English