গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের পরই এক্সিট পোলও প্রকাশিত হয়েছে। ভারতে, ভোট শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেই নির্বাচনের এক্সিট পোলের ফল প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয় না। এই এক্সিট পোল নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এক্সিট পোল কী? কীভাবে এক্সিট পোল হয়? ভালো এক্সিট পোলের জন্য কী দরকার? চলুন, দেখে নিই।
এক্সিট পোল কী?
এক্সিট পোলে ভোটদানের পর ভোটারদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে তারা সেই নির্বাচনে কোন দলকে সমর্থন করছে। আর ওপিনিয়ন পোলে, ভোটের আগে ভোটারদের জিজ্ঞাসা করা হয়। এক্সিট পোলই বলে দেয়, রেজাল্ট কী হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি আনুগত্যর মত বিষয়গুলোর জেরে ভোটের বাতাস কোন পথে বইছে, তার ইঙ্গিত দেয়। বর্তমানে ভারতে এক্সিট পোলগুলো বেশ কয়েকটি সংস্থা চালায়। আর, এর সঙ্গে কোনও না-কোনও মিডিয়া সংস্থা জড়িত। সমীক্ষাগুলো কখনও মুখোমুখি, কখনও বা অনলাইনে চলে।
এক্সিট পোল কীসে ভালো বা খারাপ হয়?
একটি ভাল বা নির্ভুল এক্সিট পোলের জন্য এক্সিট পোলের প্রশ্নসংখ্যা থাকতে হবে বেশিসংখ্যক। আর, সেই সব প্রশ্নের মধ্যে অবশ্যই বৈচিত্র্য থাকতে হবে। পাশাপাশি, যাবতীয় প্রশ্ন পক্ষপাতহীন হওয়া দরকার। সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজের পরিচালক সঞ্জয় কুমার এর আগে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ লিখেছেন, 'একটি কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্র ছাড়া, তথ্য সুসংহতভাবে সংগ্রহ করা যায় না। বা ভোট ভাগের অনুমানে পৌঁছানোর জন্য যে পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ, তা করা যায় না।' রাজনৈতিক দলগুলো হামেশাই অভিযোগ করে, বিপক্ষ দল মনের মত ফলের জন্য সমীক্ষক সংস্থাকে অর্থ দিয়েছে। সমালোচকদের একাংশের আবার দাবি, এক্সিট পোলের ফলাফল প্রশ্ন তৈরিতে পছন্দ, প্রশ্ন করার ভঙ্গী, আর প্রশ্ন করার সময়-সহ নানা দিক দিয়ে প্রভাবিত হতে পারে।
ভারতে এক্সিট পোলের ইতিহাস
সঞ্জয় কুমার লিখেছিলেন যে ১৯৫৭ সালে দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচনের সময় 'দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ওপিনিয়ন' প্রথমবার এমন সমীক্ষা করেছিল।
আরও পড়ুন- দিল্লি পুরনির্বাচনে হইহই করে জিতছে আপ, পিছিয়ে বিজেপি, ইঙ্গিত সমীক্ষায়
ভারতে এক্সিট পোল
কখন প্রকাশ করা উচিত, তা নিয়ে তিনবার মামলা সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গেছে। বর্তমানে ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এক্সিট পোল প্রচার করা যায় না। গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশ নির্বাচনের জন্য, নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যে ১২ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে কোনও এক্সিট পোল প্রকাশ করা যাবে না। কারণ, হিমাচল প্রদেশে ১২ নভেম্বর ভোট হয়েছিল। গুজরাটে ১ ডিসেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বরে দুটি ধাপে ভোট হয়েছে। দুই রাজ্যের ফলাফল প্রকাশিত হবে ৮ ডিসেম্বর।
Read full story in English