RG Kar probe: সিবিআই (CBI) কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি মামলার অংশ হিসাবে বায়োমেডিকেল বর্জ্যের বিক্রি এবং তা কীভাবে নষ্ট করা হত, তা নিয়ে তদন্ত করছে। গত মাসে আরজি কর হাসপাতালে একজন মেডিকেল ইন্টার্নকে ধর্ষণ এবং হত্যার পরে এই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্তে উঠে এসেছে এসএনজি এনভাইরোসলিউশনের নাম। এই ছোট কোম্পানিটির কোনও বর্জ্য শোধনাগারই নেই। তারপরও আরজি কর-সহ রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ৭০% পর্যন্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের দায়িত্ব রয়েছে এদের হাতেই।
মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ
নথি বলছে, ২০১৯ সালে কলকাতার ব্যবসায়ী এসপি সিংয়ের মালিকানাধীন সংস্থাটি দিল্লির একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল। উত্তরপ্রদেশে ওই সংস্থার মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনের প্ল্যান্ট। ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতেই এসএনজি শয্যাপিছু দৈনিক ৯ টাকা হারে হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করছিল। রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালের ৮০ হাজারেরও বেশি শয্যা আছে। সেই সব শয্যা থেকে গত ৪৪ মাস ধরে প্রতিদিন টনের পর টন হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করছে এসএনজি (SNG)।
এসপি সিংয়ের মালিকানাধীন সংস্থা
নথি বলছে, ২০১৯ সালে কলকাতার ব্যবসায়ী এসপি সিংয়ের মালিকানাধীন সংস্থাটি দিল্লির একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছিল। উত্তরপ্রদেশে ওই সংস্থার মেডিক্যাল বর্জ্য নিষ্কাশনের প্ল্যান্ট। ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতেই এসএনজি শয্যাপিছু দৈনিক ৯ টাকা হারে হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহ করছিল। রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালের ৮০ হাজারেরও বেশি শয্যা আছে। সেই সব শয্যা থেকে গত ৪৪ মাস ধরে প্রতিদিন টনের পর টন হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করছে এসএনজি (SNG)।
ফের নতুন চুক্তি
এই এসএনজি কলকাতার এক ব্যবসায়ী পরিবারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সরকার ২০২৩ সালের জুনে এসএনজির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল। কারণ, দিল্লির সংস্থা, তাদের সাব-কন্ট্রাক্টর সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করেছিল। এরপর তিন মাসের মধ্যে, এসএনজি রাজ্যে তার প্রথম ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করে। এরপর এসএনজির সঙ্গে রাজ্য সরকার একটি নতুন চুক্তি করে।
তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব যা জানিয়েছেন
যখন এই চুক্তি হয়েছিল, সেই সময় রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ছিলেন রাজীব সিনহা। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, চুক্তি নিয়ম মেনে হয়েছিল। রাজীব সিনহা জানান, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নেই, এমন সংস্থাকেও মেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া যায়। তবে তাদের, 'পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইসি) পাওয়ার চার মাসের মধ্যে প্ল্যান্ট বানানোর কথা।' এসএনজি অবশ্য কয়েক বছর ধরেই প্ল্যান্ট বানায়নি। এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রাজীব সিনহা বলেন, 'কোনও কোম্পানি যদি পরবর্তীতে কোনও শর্ত লঙ্ঘন করত, তবে স্বাস্থ্য বিভাগে আমার উত্তরাধিকারীরা নিশ্চয়ই যথাযথ পদক্ষেপ নিতেন।' রাজীব সিনহা বর্তমানে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার।
রাজীবা সিনহার সঙ্গে এসপি সিংয়ের সম্পর্ক
২০০৬ সালে রাজী সিনহা যখন কলকাতার পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন, যখন এসপি সিং-এর মালিকানাধীন আরেকটি কোম্পানি, এসএনজি মার্কেন্টাইল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থসাহায্যে চলা একটি প্রকল্পের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। এমনকী, ২০১৬ সালে রাজীব সিনহা ইতালিতে একটি রাষ্ট্রীয় শিল্প প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার সদস্য ছিলেন এসপি সিং।
আরও পড়ুন- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি, কীভাবে উত্থান ঘটল হরিণী অমরাসুরিয়ার?
এসপি সিং যা জানিয়েছেন
যোগাযোগ করা হলে, এসপি সিং বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনে বিলম্বের জন্য কোভিডকে দায়ী করেছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, 'আমরা প্রতিটি নিয়ম মেনে নিলাম জিতে কোভিডের সময় বর্জ্য নিষ্কাশন পরিষেবা দিয়েছি। এটা যৌথ উদ্যোগে হয়েছিল। পার্টনাররা ব্যাংক গ্যারান্টির জন্য সমান অর্থ দিয়েছিল।' নথি বলছে, নিলামের পরেই এসপি সিং ধারাবাহিক লেনদেনের মাধ্যমে, যৌথ উদ্যোগে মালিকানাকে ব্যক্তিগত মালিকানায় পরিণত করেছিলেন। আর, তাঁর কনসোর্টিয়ামে অংশীদারদের অংশীদারিত্ব কমিয়ে দিয়েছিলেন।